কমিউনিটি পুলিশ হলো একটি স্বেচ্ছাশ্রম: আইজিপি

কমিউনিটি পুলিশ হলো একটি স্বেচ্ছাশ্রম: আইজিপি

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক বলেছেন, কমিউনিটি পুলিশ হলো একটি স্বেচ্ছাশ্রম। আমরা চাই এটি সর্বদলীয় হোক। কমিউনিটি পুলিশ কমিটিতে ভালো মানুষ আসুক। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সদর দফতর সম্মেলন কক্ষে এসব কথা বলেন তিনি। আগামী শনিবার কমিউনিটি পুলিশিং ডে- এ উপলক্ষে পুলিশ সদর দফতরে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

শহীদুল হক বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশেই কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা চালু আছে। জনগণের সঙ্গে পুলিশের সুসম্পর্ক স্থাপন করাই কমিউনিটি পুলিশের লক্ষ্য। আমরা চাই, ব্যাপক সংখ্যক জনগণ যেন কমিউনিটি পুলিশের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। কমিউনিটি পুলিশে যারা অবদান রেখেছেন আগামীতে তাদেরকে পুরস্কৃত করা হবে।

কমিউনিটি পুলিশিং সরকারদলীয় হচ্ছে কী না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, আমরা চাই কমিউনিটি পুলিশ সর্বদলীয় হোক। কিন্তু কেউ যদি না আসে তাহলে তো কিছু করার নেই।

কমিউনিটি পুলিশের অনেকের বিরুদ্ধে অপরাধের সঙ্গে জড়ানোর অভিযোগ রয়েছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে একেএম শহীদুল হক বলেন, এমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। যদি এমন অভিযোগ আসে তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।

তিনি বলেন, অপরাধ একটি রোগ। এতে যে কেউ সংক্রমিত হতে পারে। যে কোনো কমিউনিটিতে যে কেউ অপরাধ করতে পারে। যেমন কক্সবাজারে কিছু গোয়েন্দা পুলিশ অপরাধ করে ধরা পড়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। অপরাধী যেই হোক, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবেই।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সালে ময়মনসিংহে প্রথম পুলিশ জনগণের সহযোগিতায় অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রেখেছিল। ওই সময় ময়মনসিংহ শহরে সম্পত্তি সংশ্লিষ্ট অপরাধ, চুরি ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল। সেজন্য তখন রাতে পেট্রোল ডিউটির জন্য টাউন ডিফেন্স পার্টি (টিডিপি) গঠন করা হয়। এই কার্যক্রমের উদ্দেশ্য ছিল স্বল্প সময়ের জন্য কিছু অপরাধ দমনে পদক্ষেপ নেওয়া। তারই আদলে ২০০৭ সালে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজির তত্ত্বাবধানে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। ২০০৮ সালে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এই কার্যক্রম শুরু করেন।

বাংলাদেশ