গত দশ বছরে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনে বিশাল ধস নেমেছে। এতে অনেক দর্শকই হয়ে পড়েছেন চলচ্চিত্রবিমুখ । দর্শকদের ভালো ছবি প্রদর্শনের মাধ্যমে সিনেমা হলে ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় কাজ করছে রুপাই মুভি ক্লাব। এরই মধ্যে সংগঠনটি দেশের বিভিন্ন জেলা আঞ্চলিক কমিটি ঘোষনা করেছে। এসব কমিটির তত্ত্বাবধানে দেশের প্রতিটি জেলায় প্রদর্শিত হবে সুস্থধারার বাংলা চলচ্চিত্র। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত তিনদিনব্যাপী চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে বগুড়ার উডবার্ণ পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে ।
‘আমার দেশের চলচ্চিত্র উৎসব’ সেøাগান নিয়ে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন চলচ্চিত্র পরিচালক আবু সাইয়ীদ। ২৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে বগুড়ার উডবার্ণ পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত রুপাই মুভি ক্লাবের কেন্দ্রীয় পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী জুলফিকার হুসাইন সোহাগের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক রাজু আহমেদ, বাংলাদেশ কালচারাল রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও চলচ্চিত্র সাংবাদিক দুলাল খান, চলচ্চিত্র পরিচালক শাজাহান চৌধুরী, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য তৌফিক হাসান ময়না, প্রিয়াংকা গ্রুপের মহিউদ্দিন মাহমুদ এবং বগুড়া সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান সুজন।
উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এটিএন বাংলার বিক্রয় ও বিপণন উপদেষ্টা সামসুল হুদা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নাট্যপরিচালক চয়নিকা চৌধুরী ও নায়ক ইমরান।
এই উৎসবে সুস্থধারার ১২টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। ছবিগুলো হচ্ছে- আবু সাইয়ীদ পরিচালিত ‘অপেক্ষা’, সাইদুর রহমান সজল পরিচালিত ‘রাতের শেষের তারা’, সাইদুল আনাম টুটুল এর ‘আধিয়ার’, গৌতম ঘোষ পরিচালিত ‘মনের মানুষ’, মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’, হুমায়ূন আহমেদের ‘শ্যামল ছায়া’, শাজাহান চৌধুরীর ‘মধুমতি’, রাজু আহমেদের ‘ভুল’, সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ডের ‘গঙ্গাযাত্রা’ চয়নিকা চৌধুরীর ‘হাসপাতাল’ এবং জুলফিকার হুসাইন সোহাগ পরিচালিত ‘ঘুড়ি’।