কারো সঙ্গে বৈরীতা নয়, ধৈর্য ধরে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি মোকাবেলা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা কারো সঙ্গে সংঘাতে জড়াবো না। ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবেলা করব।’
আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অন্যান্য অনেক বিষয়ের পাশাপাশি উঠে আসে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ইস্যু। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের এই বাসিন্দাদের ছয় লাখেরও বেশি সে দেশের সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক অভিযানের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে এসেছে। তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে কক্সবাজারে। সেখানে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তাদের ত্রাণ, চিকিৎসা এবং অন্যান্য কার্যক্রম চলছে।
মন্ত্রিপরিষদের একজন সদস্য বলেন, ‘সভায় মিয়ানমার সফরে গিয়ে এক লাখ টন চাল কেনার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদকে অবহিত করছিলেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।’
এ সময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে চাল আমদানি করা কি ঠিক হচ্ছে? কারণ তারা ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম ও বর্বর ঘটনা ঘটিয়েছে।’
পরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমার বর্বর ঘটনা ঘটিয়েছে, সেটা ঠিক। কিন্তু বাড়াবাড়ি বা ঝগড়াঝাটি করে সমস্যার সমাধান করা যাবে না। কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আমরা বাড়াবাড়ি করলে বিশ্ব জনমত আমাদের পক্ষে থাকতো না। আমাদের লক্ষ্য রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো।’
উদাহরণ দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এখন ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক খুবই খারাপ। কিন্তু তারপরও এর মধ্যেই তাদের ব্যবসা বাণিজ্য চলছে। আমরা কারও উস্কানিতে পা দেবো না। আমি যখন জাতিসংঘে ছিলাম তখন মিয়ানমারের প্রতিনিধি নানাভাবে আমাকে উস্কানি দিয়েছে। আমরা বাড়াবাড়ি করিনি। আমরা বাড়াবাড়ি করলে সেখানে পরিস্থিতি অন্যরকম হতো।’
মন্ত্রিপরিষদের অন্য এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মিয়ানমার সফর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছি মিয়ানমারের সঙ্গে কোনও উগ্র আচরণ নয়, সহনশীল ও ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। তারা যদি উগ্র আচরণ করেও আমাদের সহনশীল হতে হবে, ধৈর্য সহকারে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে’।”