মাছ ও দেশি মুরগীর দাম নিয়ে নৈরাজ্য

মাছ ও দেশি মুরগীর দাম নিয়ে নৈরাজ্য

মাছ-মুরগী ও সবজির বাজারে দাম নিয়ে চরম নৈরাজ্য চলছে। বিক্রেতারা নিয়মকানুনের বালাই না করেই একেক জনের কাছে একেক রকম দাম আদায় করছেন।

এক্ষেত্রে রাজধানীর বাজারগুলোতে ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত মূল্য তালিকা ঝোলানোর কথা থাকলেও বাজার কমিটিগুলো বিষয়টিকে পাত্তা দিচ্ছে না। এ অনিয়ম দূর করার কাজে নিয়োজিত ট্রেড্রিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মোবাইল টিম ঝিমিয়ে পড়েছে অনেক আগেই। ফলে দাম নিয়ে বাজারগুলোতে নৈরাজ্য চরম আকার ধারণ করেছে।

শনিবার মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট ও কৃষি মার্কেটসহ কয়েকটি কাঁচা বাজার ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে।

দেখা যায় একই মাছ একজন ক্রেতার কাছে যত টাকা বিক্রি করা হচ্ছে তা অন্য আরেকজন ক্রেতা কিনছেন তার চেয়ে অনেক বেশি টাকা দিয়ে। কখনো দেড় থেকে দুই গুণ বেশি দামও আদায় করা হচ্ছে কারো কারো কাছ থেকে।

মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটে এক বিক্রেতা মাঝারি আকারের (২-২.৫ কেজি) কাতল মাছের কেজি বিক্রি করছেন ৩০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা। অন্য দিকে সেই একই বিক্রেতা কিংবা অন্য আরেকজন বিক্রেতা একই আকারের মাছের দাম হাকছেন প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা। এ রকম ঘটনা ঘটছে সবজির বাজার ও মুরগীর বাজারেও।

মুরগী’র বাজারে দেশি ও পাকিস্তানি মুরগীর মধ্যে গোলমাল পাকানো খুব স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঠিকা হিসেবে আধা কেজি ওজনের একটি দেশি মুরগী কারো কাছে ৩০০ টাকা, ৩৫০ টাকা, ৪০০ টাকা যার কাছে যা ইচ্ছে দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা।

সবজির বাজারেও বিক্রেতার বদলের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সবজির দাম কেজিতে ২ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত পার্থক্য হয়ে যায়।

এর বাইরে আবার মাছ কেজি হিসেবে বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও ইলিশ মাছসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ ঠিকা নিয়মে বিক্রি হচ্ছে।

এমনিতেই নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্যের কারণে ক্রেতারা দুর্ভোগে রয়েছেন। তার উপর দাম নিয়ে এত অনিয়ম তাদের ভোগান্তিকে বাড়িয়ে দিয়েছে আরো কয়েকগুণ।

এ বিষয়ে একজন সাধারণ ক্রেতা বনি আমিন সাগর বলেন, ‘এরকম অবস্থার মধ্যে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়তে হয়। আমরা বুঝতে পারি না কোন একটা জিনিসের প্রকৃত মূল্য। যার ফলে প্রায়ই প্রতারিত হচ্ছি। এ রকম অনিয়মের অবসান হোক এটাই চাই।’

অন্যদিকে মাছ বিক্রেতা কাউসার আহমেদ বলেন, ‘আমরা যে দামে জিনিস কিনি আনি সেই অনুযায়ীই বিক্রি করতে হয়। মাছের কোয়ালিটির, সাইজের উপর অনেক সময় দাম সামান্য কম বেশি হয়ে থাকে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও ট্রেড্রিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার সারওয়ার জাহান তালুকদারকে পাওয়া যায়নি।

অর্থ বাণিজ্য