প্রধান বিচারপতি সিনহা পিস কমিটির সদস্য ছিলেন: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

প্রধান বিচারপতি সিনহা পিস কমিটির সদস্য ছিলেন: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা কে ইঙ্গিত করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পিস কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি স্বাধীনতা বিরোধী সালাউদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রীর সাথে তিন তিন বার দেখা করেছেন। দুর্নীতিবাজ, শপথ ভঙ্গকারী, রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাতসহ ১১টি অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। একজন শপথ ভঙ্গকারী হিসেবে তিনি আর প্রধান বিচারপতির চেয়ারে বসতে পারবেন না। তিনি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননা করেছেন। তাই বিচারপতির চেয়ারে বসার তার কোন অধিকার নেই।

আজ শনিবার দুপুরে ডোমার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন। মন্ত্রী আরো বলেন, যুদ্ধের সময় যেখানে যেখানে যুদ্ধ হয়েছে সেইসব স্থানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য স্মৃতিস্তম্ভ গড়ে তোলা হবে। সারা বাংলাদেশে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের কথা পাচ মিনিট করে রেকর্ড করা হবে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভা উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে ফাতিমার সভাপতিত্বে নীলফামারী-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহবায়ক আল আমিন রহমানের সঞ্চালনায় সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রিয় নেতা সরকার ফারহানা আকতার সুমি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক তোফায়েল আহম্মেদ, সভাপতি অধ্যাপক খায়রুল আলম বাবুল, সাবেক কমান্ডার আব্দুল জব্বার, কমান্ডার নুরন্নবী, নীলফামারী পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, জেলা কমান্ডার ফজলুল হক এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন এসময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন কিছুদিন আগেও ডোমারে একশ আট জন মুক্তিযোদ্ধা ও ৫ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় থাকলেও বর্তমানে দুইশ চল্লিশ জন মুক্তিযোদ্ধা ও ৭ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তালিকায় রয়েছে যেটা অস্বাভাবিক। তারা মন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান, ভুয়া ও মিথা তথ্যদিয়ে যারা মুক্তিযোদ্ধা বনে গেছেন তাদের চিহ্নিত করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করা। এলজিইডির তত্বাবধানে ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে প্রায় ২ কোটি ২২ লক্ষ ৯৯ হাজার ৫৫০ টাকা ব্যায়ে গত ২০১৪ সালের ২৯ জুন এর কাজ শুরু হয়ে ২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী কাজ সমাপ্ত হয়। মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ১২টি ঘড় রয়েছে।

Featured রাজনীতি শীর্ষ খবর