টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে আইন কলেজের ছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রুপাকে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। রবিবার টাঙ্গাইলের বিচারিক হাকিম আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এতে গ্রেপ্তার পাঁচজনের বিরুদ্ধে রুপাকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মাহবুব আলম সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পরিবহনের পাঁচজন মিলে কলেজ ছাত্রী রুপাকে ধর্ষণের পর হত্যা করার বিষয়টি অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রুপাকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষণ করে এবং বাসেই তাকে হত্যার পর মধুপুর উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে তার মৃতদেহ ফেলে রেখে যায়। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই অজ্ঞাত পরিচয় মহিলা হিসেবে তার লাশ উদ্ধার করে। পর দিন ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে রুপার ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় গিয়ে ছবির ভিত্তিতে বোনকে শনাক্ত করেন।
এর তিন দিন পর ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ময়মনসিংহ-বগুড়া রুটের ছোঁয়া পরিবহনের হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫),জাহাঙ্গীর (১৯), চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা প্রত্যেকে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তারা কারাগারে রয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের পরিদর্শক কাইয়ুম খান সিদ্দিকী জানান, ময়নাতদন্তের সময় সংরক্ষিত রুপার দাঁত ও পরিধেয় বস্ত্র ঢাকায় ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। শনিবার সেই প্রতিবেদন হাতে আসে।