সাম্প্রতিক সময়ে বিচার বিভাগের চলমান ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘প্রধান বিচারপতিদের নিয়ে এ ধরনের খেলা অতীতে বারবার হয়েছে। এমনও হয়েছে প্রধান বিচারপতির এজলাসে তাকে পত্রপাঠ বিদায় জানানো হয়েছে, অথচ তিনি জানেনই না।’
আজ শনিবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হুটহাট করে বিচারপতিদের বিদায় জানানো হয়। সাবেক রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দীন আহমেদও প্রধান বিচারপতিকে বঙ্গভবনে চা খাওয়ার দাওয়াতে ডেকে পদত্যাগ করতে বলেছেন।’
বিএনপির শাসনামলের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেখলাম চিফ জাস্টিসের বয়স ৬৫ থেকে ৬৭ বাড়িয়ে দেওয়া হলো। যিনি কেবলমাত্র অবসরপ্রাপ্ত হয়েছেন, তিনি উপদেষ্টা হবেন তাই আন্তর্জাতিক সম্পাদক কে এম হাসানকে উপদেষ্টা বানালো এবং চক্রান্ত করলো যাতে তিনি প্রধান উপদেষ্টা হয়ে ভোট চুরির সুযোগ করে দেয়। আমরা মহাজোট করি। ভুয়া ভোটার আইডি তৈরি করলো, আমরা আন্দোলন করি। এসব কারণে আবার ইমারজেন্সি ঘোষণা করা হয়। এরপর দ্রুত ইলেকশন হবে ভেবেছিল, কিন্তু তখন ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা করা হয়।’
আমাকে তখন দেশে ফিরতে বাধা দেওয়া হয়েছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমি পরোয়া করি না। আমি তো জানি মারবে। যতক্ষণ শ্বাস আছে দেশের জন্য কাজ করে যাব, গণতন্ত্রের কথা বলে যাবো।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৬ সালে যত নিয়োগ দিয়েছিলাম একইদিনে পত্রপাঠ বিদায় করা হয়। প্রশাসনে একই অবস্থা। কোনও নিয়ন্ত্রণ বা ডিসিপ্লিন কিছু ছিল না। জাতীয় সংসদে ভোট কারচুপির মধ্য দিয়ে নিজের মনমতো লোক বসিয়ে দেওয়া হয়। স্বাধীনতার বিরোধিতাকারীদের মন্ত্রী করে সংসদে বসানো হয়। কর্নেল রশিদ হুদাকেও বসানো হয়। আমাদের লাখো শহীদের অর্জনের পতাকা তুলে দেওয়া হয় তাদের হাতে।’
জনগণ সরকারের সেবা পাবে সেটাই করে যাচ্ছি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ ভোটের অধিকার যাতে প্রয়াগ করতে পারে সেই চেষ্টা করি। ২০০১ এর নির্বাচনের কথা যদি স্মরণ করেন। ভোটের দিন আমি যেখানে ইলেকশন করেছিলাম সেখনে নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে গাড়িতে করে নিয়ে নিয়ে দেখানো হয়েছিল পরিণতি কেমন হবে।’