বাংলাদেশে কেএফসি তার খাদ্যে গুণগত মান নিয়ন্ত্রণে বার বার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে পার পেয়ে গেলেও উন্নত বিশ্বে তার যে সুযোগ নেই সেটি এবার প্রমাণিত হয়েছে।
বিশ্বের অন্যতম এই ফাস্ট-ফুড শপের খাবার খেয়ে অস্ট্রেলীয় এক বালিকার মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর কেএফসি কে ৮৩ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ গুনতে হচ্ছে। বালিকাটির পরিবারকে এই ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলশ প্রদেশের সুপ্রিমকোর্ট।
কেবল বিষাক্ত খাবারই নয়, আদালতের নির্দেশও অমান্য করে এই বিশাল অংক ক্ষতিপূণের মুখে পড়লো প্রতিষ্ঠানটি।
তবে কেএফসি বলেছে, তারা এ আদেশে ‘অত্যন্ত হতাশ’ এবং এর বিরুদ্ধে তারা আপিল করবে।
গত সপ্তাহে এ রায় দেয় আদালত। রায় ঘোষণায় বিচারক বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বালিকাটির চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে কেএফসি। তাই এখন ক্ষতিগ্রস্তের পরিবারকে ৮৩ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে হবে।
মনিকা সামান নামে মেয়েটি সিডনিতে কেএফসি’র একটি শপে ‘টুইস্টার’ নামে মুরগীর মাংসের তৈরি এক ধরনের খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেন, সে সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত। যা তার মস্তিষ্ককে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
এ ঘটনাটি ২০০৫ সালের।
এ বিষক্রিয়ার কারণে মনিকা চলৎশক্তি হারিয়ে ফেলেছে। তার জীবন এখন হুইলচেয়ারে বন্দি। সে কথাও বলতে পারে না।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশেও কেএফসি’র শপগুলোতে বিভিন্ন সময় খাবারের নিম্নমান, খাবার তৈরির নোংরা পরিবেশ দেখা গেছে। এমনকি তেলাপোকাও পাওয়া গেছে কেএফসি’র খাবারে।
এসব কারণে বিভিন্ন সময়ে ছোটখাটো জরিমানারও শিকার হয়েছে কেএফসি।