রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ আরো বাড়ানোর কথা বলেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এ জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বিশ্ববাসীকে মিয়ানমারের ওপর প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করতে হবে। বাংলাদেশ সমস্যাটি সমাধানের জন্য কূটনৈতিকভাবে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ আরো বাড়াতে হবে।
ইতোমধ্যে মিয়ানমার সরকারের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে এসে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তাব দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন, হত্যা, ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া অব্যাহত রেখেছে মিয়ানমার সরকার। ফলে এখনো হাজার হাজার রোহিঙ্গা জীবন রক্ষার জন্য বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী শুক্রবার ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘শোকেস কোরিয়া-২০১৭’-এর উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার কমার্স এন্ড ইন্ডাস্টি-এর প্রেসিডেন্ট ও মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত অন সিঅং-ডু, এলজি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইডোয়ার্ড কিম, কোরিয়া ইপিজেড-এর প্রেসিডেন্ট জাহাঙ্গীর সাদাত। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার কমার্স এন্ড ইন্ডাস্টি সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহাব উদ্দিন খান।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, কোরিয়ার সকল কোম্পানি বাংলাদেশেই তাদের পণ্য তৈরী করতে পারে। বাংলাদেশের মানুষের কোরিয়ার তৈরী পণ্য ক্রয়ের সক্ষমতা রয়েছে। এখানে পণ্য প্রস্তুত করে রপ্তানি করলেও কোরিয়া লাভবান হবে।
কোরিয়ার প্রায় ২০০টি প্রতিষ্ঠান ইপিজেড-এর ব্যবসা পরিচালনা করছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সেখানে বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। ইপিজেড-এ কোরিয়া ৭ম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ। দেশটি বাংলাদেশকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে। কোরিয়ায় রপ্তানি বৃদ্ধি করে এ বাণিজ্য ব্যবধান কমিয়ে আনা সম্ভব বলেও বলেন তিনি।
বাংলাাদেশে প্রথমবারে মতো শোকেস কোরিয়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কোরিয়ার ৩৬টি কোম্পানি তাদের পণ্য নিয়ে মেলায় অংশগ্রহণ করছে। এলজি, স্যামসাংসহ বিভিন্ন কোম্পানির ইলেক্ট্রনিক, মেশিনারীসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য রয়েছে। আগামীকাল মেলা শেষ হবে।