সরকার পর্যটন, পণ্য ও উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ এই তিনটি ক্ষেত্রের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বিশ্বের কাছে দেশের প্রতিটি জেলাকে তুলে ধরার কাজ শুরু করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতাধীন এক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) কর্মসূচি বিশ্বের সামনে প্রতিটি জেলার সম্ভাবনাসমূহ বিশেষ করে পর্যটনকে তুলে ধরার কাজ হাতে নিয়েছে।
এটুআই কর্মসূচির প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার শুক্রবার বাসস’কে বলেন, ‘দেশের পাশাপাশি সবগুলো জেলার উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা বিশ্বের সামনে একটি জেলার সবকিছু তুলে ধরতে চাই।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি জেলারই পর্যটন এলাকায় বিশেষ পণ্য অথবা খাদ্য এবং বিশেষ জনকল্যাণমূলক উদ্যোগের ন্যায় কিছু বিশেষত্ব রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) মহাপরিচালক (প্রশাসন) আনোয়ার বলেন, ডিস্ট্রিক্ট-ব্রান্ডিং হচ্ছে একটি জেলার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিবেচনায় নিয়ে সেখানকার সকল শ্রেণীর লোককে সম্পৃক্ত করে একটি জেলার উন্নয়ন ও সম্ভাবনার এক মহাপরিকল্পনা।
এটুআই-এর পরিচালক (ই-সার্ভিস) ড. মো. আব্দুল মান্নান বলেন, বিভাগীয় কমিশনারদের তত্ত্বাবধানে সকল জেলা প্রশাসক ও লোকদের অংশগ্রহণে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এটুআই।
তিনি বলেন, এই উদ্যোগের বাস্তবায়নে ব্রান্ডিং উপকরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও সংগঠনগুলোকে এই কর্মসূচির সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই কর্মসূচির তত্ত্বাবধান করবে।
এই কর্মসূচির অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, এটুআই ইতোমধ্যে সকল জেলার ব্রান্ডিং উপকরণ, লোগো ও ট্যাগলাইন চিহ্নিত করা হয়েছে।
মান্নান বলেন, প্রতিটি জেলাই নিজ নিজ ব্রান্ড-বুক প্রস্তুত করছে। ছয়টি বই ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে এবং ১০টি বই প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে।’
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কুমিল্লা দেশের একটি পুরাতন ও বড় জেলা এবং এর রয়েছে অনেক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও ঐতিহ্য। এখানে অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন ও স্থান রয়েছে এবং রয়েছে অনেক বিশেষ বিশেষ খাদ্য যা অনেক দেশী বিদেশী পর্যটককে আকৃষ্ট করে।
তিনি আরো বলেন, রয়েছে- কোটবাড়ী, ময়নামতির শালবন বিহার, ধর্ম সাগরের মতো ঐতিহাসিক স্থান এবং কমনওয়েলথ যুদ্ধ সমাধি ক্ষেত্র।
ফেনীর জেলা প্রশাসক মনোজ কুমার রায় বলেন, তারা বিশ্বের সামনে পর্যটনের মাধ্যমে ফেনী জেলাকে তুলে ধরতে চান। এখানে মুহুরি ব্যারেজ, বেলুনিয়া স্থলবন্দর ও বিজয় সিংহ দীঘির মতো অনেক ঐতিহাসিক ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপুর্ণ স্থান রয়েছে।