মালয়েশিয়ায় নির্বাচনী সংস্কারের দাবিতে শনিবার বিক্ষোভে নামা হাজার হাজার প্রতিবাদকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করেছে দাঙ্গা পুলিশ।
এদিন মালয়েশিয়ার নির্বাচন পদ্ধতিতে সংস্কার আনার দাবিতে মিছিল নিয়ে রাজধানী কুয়ালালামপুরের কেন্দ্রীয় চত্বরে গিয়ে জড়ো হয় প্রতিবাদকারীরা। মালয়েশিয়াতে গত কয়েক দশকের মধ্যে এটিই সবচে বড় বিক্ষোভ বলে মনে করা হচ্ছে।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, বর্তমান নির্বাচন পদ্ধতির দূর্বলতার সুফল আগামী নির্বাচনে ভোগ করবেন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। এ দুর্বলতার সুযোগে কারচুপি করে দীর্ঘ দিন শাসন করা জোট সরকার তার শাসনকাল আরো দীর্ঘায়িত করার সুযোগ পাবে।
পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তার ধারণা প্রায় ২৫ হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেয়। তবে স্থানীয় অনেক সংবাদ সংস্থা এ সংখ্যা ৮০ হাজার বা তারও বেশি বলে দাবি করেছে।
কুয়ালালামপুরের ঐতিহাসিক মেরদেকা স্কয়ার (স্বাধীনতা স্কয়ার) একদিন আগেই কাঁটাতার দিয়ে সিল করে দেওয়া হয়েছিল। তবে শনিবার বিক্ষোভকারীরা বাধা উপেক্ষা করে চত্বরে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।
এসময় পুলিশ কমপক্ষে ২০ জনকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বিরোধী দলের সমর্থন পুষ্ট সংস্কারবাদী গ্রুপ বেরশিহের আয়োজনে এ প্রতিবাদ র্যালিটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চলতি মাসে মালয়েশিয়ার নির্বাচন পদ্ধতিতে অবশ্য কয়েক দফায় সংস্কার এনেছে পার্লামেন্ট। তবে মানবাধিকার ও রাজনৈতিক কর্মীদের অভিযোগ, পাস হওয়া সংস্কার প্রস্তাবে প্রধান ইস্যু ‘নির্বাচনে কারচুপি’র বিষয়টি বিবেচনায় আনা হয়নি। নির্বাচন পদ্ধতির মধ্যেই এ সুযোগ রাখা হয়েছে। আর এর সদ্ব্যবহার করেই ক্ষমতাসীন জোট বারিসান ন্যাশনাল পার্টি সেই স্বাধীনতার পর থেকেই ক্ষমতায় আছে।
তাদের আরো অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট এবং তারা ভোটার তালিকায় অনেক ভুয়া ভোটার অন্তর্ভূক্ত করেছে।