স্পিকার ও সিপিএ চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এগিয়ে আসতে উন্নয়ন সহযোগীসহ বিশ্বনেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
তিনি মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের আয়োজনে আইএমএফ’র সদর দফতরে পার্লামেন্টারি নেটওয়ার্ক ওয়ার্কশপে বক্তৃতাকালে এ আহবান জানান। দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে কর্মসংস্থান, প্রযুক্তি ও বাণিজ্য, শিক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কর্মশালা পরিচালিত হয়।
সংসদ সচিবালয়ের বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশ্ববাসীর কাছে এক অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। সম্প্রতি বিপুলসংখ্যক বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশ সম্পূর্ন মানবিক কারণে এদের আশ্রয় দিয়েছে। এ সংকট সমাধানে তিনি বিশ্বব্যাংকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উন্নয়ন সহযোগীসহ বিশ্বনেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ সরকার দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে কাজ করছে। বাংলাদেশে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতিমালা রয়েছে, যার মাধ্যমে মানবসম্পদ বিশেষ করে নারী ও যুবসমাজের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নে সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে।
শুধু দক্ষতা উন্নয়নই নয়, সুষম উন্নয়নের জন্যও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন প্রয়োজন।
স্পিকার জ্বালানির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে জীবাষ্ম জ্বালানির বিকল্প অনুসন্ধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাংলাদেশ সবচেয়ে হুমকির সম্মুখীন। অথচ জলবায়ু দূষণে বাংলাদেশের ভূমিকা খুবই নগণ্য। এ জন্য বাংলাদেশ নিজস্ব তহবিল গঠনের মাধ্যমে পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে ক্ষতির সম্মুখীন দেশগুলোকে রক্ষায় এগিয়ে আসতে উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর প্রতি আহবান জানান।
কর্মশালায় সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীর এমপি অংশ নেন।