ভারত এবং থাইল্যান্ড থেকে প্রায় আড়াই লাখ টন চাল কিনবে বাংলাদেশ। বিশ্বে চার উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। প্রতি বছর দেশেই প্রায় ৩৪ লাখ টন চাল উৎপন্ন হয়। কিন্তু এর প্রায় পুরোটাই দেশের জনগণের জন্য ব্যয় হয়। বন্যা, খরার মতো দুর্যোগের কারণে দেশটিকে প্রায়ই বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানি করতে হয়।
চলতি বছর বন্যায় চালসহ বিভিন্ন খাদ্যশস্য নষ্ট হওয়ায় এবং জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় ভিয়েতনাম, ভারত, থাইল্যান্ড থেকে চাল কিনতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশের ক্রয় সংস্থা, খাদ্য অধিদপ্তরের ডিরেক্টর জেনারেল বদরুল হাসান রয়টার্সকে বলেন, আমরা থাইল্যান্ড থেকে দেড় লাখ টন এবং ভারত থেকে ১ লাখ টন সিদ্ধ চাল কিনব।
থাইল্যান্ড থেকে কেনা চালের দাম টন প্রতি ৪৬৫ ডলার এবং ভারত থেকে কেনা চাল টন প্রতি ৪৫৫ ডলার। বদরুল হাসান বলেন, আমাদের লক্ষ্য পূরণে আমরা ইতোমধ্যেই সব চুক্তি চূড়ান্ত করেছি।
মিয়ানমার থেকেও ১ লাখ টন চাল কেনার সিদ্ধান্ত থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গা সংকটকে কেন্দ্র করে ঢাকা এবং নাইপিদাওয়ের মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েনে সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত রয়েছে। থাইল্যান্ড এবং ভারতের সঙ্গে দ্বিতীয়বার আলোচনার পরই চাল কেনার চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে।
তবে ভিয়েতনামের কাছ থেকে কম খরচে চুক্তি হওয়ায় কম্বোডিয়া থেকে আড়াই লাখ টন সাদা চাল কেনার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে বাংলাদেশ। কম্বোডিয়ার চাল টন প্রতি ৪৫৩ ডলার ধার্য্য করা হয়েছিল।
১৬ কোটি মানুষের এই দেশে প্রধান খাদ্য হচ্ছে ভাত। তাই চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ সরকারকে সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।