শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজকর্মী ড. নীলিমা ইব্রাহিমের ৯৭তম জন্মদিন আজ। ১৯২১ সালের ১১ অক্টোবর বাগেরহাটের মূলঘর গ্রামে এক জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন নারী জাগরণের অন্যতম এ পথিকৃৎ। বীরাঙ্গনাদের পুনর্বাসন ও তাদের মনোবল ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করা মানুষদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন অধ্যাপক ড. নীলিমা ইব্রাহিম।
নীলিমা ইব্রাহিম আমৃত্যু মানুষের শুভ ও কল্যাণী চেতনায় আস্থাশীল ছিলেন। মুক্তবুদ্ধি, অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও উদার মানবিকতাবোধই ছিল তার জীবনদর্শন। স্বাধীনতার পর তার অনুরোধেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’ বইটির জন্য ড. নীলিমা ইব্রাহিম বিশেষভাবে খ্যাত। নির্যাতিত বীরাঙ্গনাদের স্মৃতিচারণা নিয়ে লেখা আমি বীরাঙ্গনা বলছি গ্রন্থটি তার অনবদ্য এক সৃষ্টি। এই বইটির কারণে তিনি মানুষের মনের কাছাকাছি পৌঁছাতে পেরেছিলেন। তিনি ছিলেন একজন অসামান্য দেশপ্রেমিক।
ড. নীলিমা ইব্রাহিমের জন্মদিন উপলক্ষে আজ বুধবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি।
নীলিমা ইব্রাহিম বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন। উল্লেখযোগ্য হলো : গবেষণা শরৎ-প্রতিভা , বাংলার কবি মধুসূদন, ঊনবিংশ শতাব্দীর বাঙালি সমাজ ও বাংলা নাটক, বাংলা নাটক : উৎস ও ধারা, বেগম রোকেয়া, বাঙ্গালীমানস ও বাংলা সাহিত্য, সাহিত্য-সংস্কৃতির নানা প্রসঙ্গ ; ছোটগল্প রমনা পার্কে; উপন্যাস বিশ শতকের মেয়ে, এক পথ দুই বাঁক, কেয়াবন সঞ্চারিণী, বহ্নিবলয় ; নাটক দুয়ে দুয়ে চার, যে অরণ্যে আলো নেই।