প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেসবুকে হত্যার হুমকির বিষয়ে করা সাধারণ ডায়েরির (জিডি) তদন্ত করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার অপরাধ বিভাগ।
জিডি’র বিষয়ে ঢাকা সিএমএম আদালতে পাঠানো প্রথম ৪৮ ঘণ্টার তদন্ত অগ্রগতির প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক বিপ্লব কিশোর শীল আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, “বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক হাফিজুর রহমান রানার জীবন বৃত্তান্ত ও স্বভাব-চরিত্র জানার জন্য বুয়েট রেজিস্ট্রারের কাছে প্রতিবেদন চাইলে বুয়েট কর্তৃপক্ষ একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছেন, যা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।“
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, “প্রধানমন্ত্রীকে ফেসবুকের মাধ্যমে হুমকি দেওয়া হয়েছে তাই তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে বিষয়টি তদন্তের জন্য গত ২৫ এপ্রিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অপরাধ বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনারের (সাইবার) কাছে পাঠানো হয়েছে।“
তদন্তে কোনো তথ্য উদ্ঘাটিত হলে পরবর্তী সময়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ এপ্রিল জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির অভিযোগে শাহবাগ থানায় একটি জিডি করেন।
জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, “বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক হাফিজুর রহমান রানা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন।“
তাতে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি লেখেন, “হায়েনা, ওই হায়েনা তুই দেশকে খেয়েছিস, এখন বুয়েটকে খাবি… পারবি না। আমরা বুয়েটের শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা হলাম শিকারি। প্রথমে তোর মাথায় গুলি করব, পরে পেটে। তারপর মাথা কেটে বুয়েটের সামনে টানিয়ে রাখব। যাতে আর কোনো হায়েনার আক্রমণে বুয়েট আক্রান্ত না হয়।“
বিষয়টি স্পর্শকাতর ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় গত ২৪ এপ্রিল ঢাকার সিএমএম আদালত এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রতি ৪৮ ঘণ্টা পরপর আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।