বাগদান অস্বীকার করলেন হৃতিক

বাগদান অস্বীকার করলেন হৃতিক

হৃতিকের সঙ্গে প্রেমের বিষয়ে গেল বছর গণমাধ্যমে প্রথম মুখ খোলেন ‘কুইন’ অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। এ সময় হৃতিককে ‘সিলি এক্স’ বলে সম্বোধন করেন তিনি। তথ্য দিয়েছিলেন হৃতিকের সঙ্গে তার প্রেম ছিলো। শারীরিক সম্পর্কও ছিলো বলে দাবি করেন এই অভিনেত্রী। সেই খবরে হৈ চৈ পড়ে যায় বলিউড পাড়ায়।

এ ঘটনায় কঙ্গনার বিরুদ্ধে মানহানির আইনী নোটিশ পাঠিয়েছিলেন ‘কাবিল’ তারকা। তবে গেল কয়েক মাসে বিষয়টি আড়ালে চলে গিয়েছিলো নানা ইস্যুতে। সম্প্রতি সেলিব্রেটি চ্যাট শো ‘আপ কা আদালত’এ এসে হৃতিককে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে আবারও সে আগুনে ঘি ঢালেন কঙ্গনা। তারই প্রেক্ষিতে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে কঙ্গনার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে পরিস্কার বক্তব্য দিয়ে মুখ খুললেনহৃতিক

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, ‌সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক আনুষ্ঠানিক বার্তায় হৃতিক লিখেছন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই আমার ব্যক্তিজীবন নিয়ে নানা রকম নোংরা মন্তব্য করে আসছেন আমারই সহকর্মী কঙ্গনা। সম্প্রতি সাক্ষাতকারে তার সঙ্গে আমার সাত বছরের প্রেমের সম্পর্কের ছিলো বলেও দাবি করেন তিনি। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে প্যারিসে আমাদের গোপনে বাগদান হয়েছে বলেও তথ্য দিয়েছেন। পুরো বিষয়টি নিয়ে চুপ থাকবো ভেবেছিলাম। পরে আমার মনে হলো এখন সময় হয়েছে কথা বলার। সত্যটা সবাইকে জানিয়ে দেওয়াই জরুরি।

সে কারণেই এ আনুষ্ঠানিক বিবৃতিটি দেওয়া। আমার বিরুদ্ধে অহেতুক নোংরা অপবাদ ছড়াচ্ছেন যিনি তার সঙ্গে আমি একসঙ্গে সিনেমায় কাজ করেছি এবং কাজের বাইরে তার সঙ্গে আমার কোনো ধরণের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিলো না। আর প্রেমের প্রশ্নই আসে না।’

দীর্ঘ এ বিবৃতিতে হৃতিক আরও লিখেছেন, ‘কারও সঙ্গে যদি আমি এতো দীর্ঘ সময় ধরে প্রেম করেই থাকি তবে নিশ্চয় এতদিন তা পাপ্পারাজ্জিদের নজরে পড়তো এবং এ প্রেমের প্রমাণ হিসেবে কোনো গোপনীয় ছবি বা ভিডিও থাকতো। আর আমার পাসপোর্ট সাক্ষী যে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে আমি প্যারিসে গিয়েছিলাম কি না। আপনারা চাইলে আমি তা প্রকাশ করতে পারি। সে সময় আমি ভারতেই ছিলাম, কাজেই ‘গোপন বাগদান’ এর বিষয়টি সম্পূর্ণই মিথ্যা। আমাকে ফাঁসানোর জন্যই এগুলো বলা হচ্ছে। এমনকি একই উদ্দেশ্যে আমার ই-মেইলে হয়রানিমূলক ও যৌন উত্তেজক বার্তাও পাঠিয়েছেন তিনি।’

হৃতিক আরও বলেন, ‘আমি বরারই নারী স্বাধনিতায় বিশ্বাস করি। নারীদের প্রতি পুরুষের প্রতারণা ও নিযাতনের বিরুদ্ধেই কথা বলি সব সময়। কিন্তু যখন কোনো নারী মিথ্যা বলেন তখন সেটা কোনো যুক্তিতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। কঙ্গনার মতো অভিনেত্রীর কাছে এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’

বিনোদন