রফিকুলসহ ডেসটিনির ৫ জনের অ্যাকাউন্ট জব্দ

রফিকুলসহ ডেসটিনির ৫ জনের অ্যাকাউন্ট জব্দ

ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন ও তার স্ত্রীসহ গ্রুপের শীর্ষ পাঁচ ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে ব্যাংকগুলোতে চিঠি পাঠিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।


বাকি চার জন হলেন- রফিকুলের স্ত্রী ফারাহ দিবা, ডেসটিনি গ্র“পের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোফরানুল হক, পরিচালক সাইদ উর রহমান ও পরিচালক মেজবাহ উদ্দীন স্বপন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ইউনিটের (সিআইসি) এক কর্মকর্তা বলেন, দু-একদিনের মধ্যে ডেসটিনির আরো কয়েকজন পরিচালকের ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে ব্যাংকগুলোতে চিঠি দেওয়া হবে।

‘ডেসটিনির পরিচালক ও প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়কর ফাইল, ব্যাংক হিসাব তল্লাশি করে প্রাথমিকভাবে রাজস্ব ফাঁকির প্রমাণ মিলেছে’ উল্লেখ করে ওই কর্মকর্তা বলেন, “তাই সংশ্লিষ্ট পরিচালকদের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে।”

ওই পাঁচ জনের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করে সিআইসি সব ব্যাংককে চিঠি পাঠায় বুধবার বিকালে। পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব ব্যাংক হিসাবে সব ধরনের লেনদেন স্থগিত রাখতে অনুরোধ করা হয় চিঠিতে।

সেলের উপ-মহাপরিচালক কামরুল হক মারুফের মঙ্গলবার স্বাক্ষর করা চিঠিটি দেশের সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে পাঠানো হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে  জানান, অবৈধ ব্যাংকিং কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আগামী রোববার ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

“দেশের বাইরে থাকা বাণিজ্য সচিব শনিবার দেশে ফিরবেন। রোববার মামলা করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”

চিঠিতে এই পাঁচ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের একক ও যৌথ নামে এবং তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে বা ওই ব্যক্তি বা তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেন সংশ্লিষ্ট সব মেয়াদি স্থায়ী আমানত (এফডিআর), সঞ্চয়পত্র, ডিপিএস হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলন বা স্থানান্তর স্থগিত করতে ব্যাংকগুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে।

১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশের ১১৭(৪) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে এনবিআরের গোয়েন্দা ইউনিট এই চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে ব্যাংক হিসাবের লেনদেন তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত করার বিষয়টি সিআইসিকে জানাতে বলা হয়েছে। এতে হিসাবগুলোর সর্বশেষ স্থিতিও উল্লেখ করতে বলা হয়েছে।

ডেসটিনি গ্রুপের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ব্যাংকিং চালানোসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। তাদের কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে বলেছে সংসদীয় কমিটিও।

সপ্তাহ খানেক আগে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ডেসটিনির কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখতে যুবকের মতো তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হবে।

তবে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত কোনো কমিশন গঠন করা হয়নি।

অর্থ বাণিজ্য