মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য ছেড়ে আসা রোহিঙ্গাদের কেবল ত্রাণ দেয়া হবে, তাদেরকে নাগরিকত্ব দেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সে দেশের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমদ জাহিদ হামিদি। শুক্রবার কুয়ালালামপুরে জে ডব্লিউ ম্যারিয়ট হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
আহমদ জাহিদ হামিদি জানান, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার ব্যাপারেও কোনো সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের আগ্রহ মালয়েশিয়ার নেই। তবে মানবিক দিক বিবেচনা করে রোহিঙ্গাদের ত্রাণ সহায়তা দেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
তবে মালয়েশিয়া রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেবে বলে সম্প্রতি কিছু গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। মালয়েশিয়ান মেরিটাইম এনফোর্সমেন্ট অ্যাজেন্সির (এমএমইএ) মহাপরিচালক জুলফিকলি আবু বকরকে উদ্ধৃত করে ওই সংবাদগুলো প্রকাশ করা হয়।
সেখানে দাবি করা হয়, অস্থায়ীভাবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেবে মালয়েশিয়া। মালয়েশিয়ার সীমান্তরক্ষীরাও রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে দেবে না বলেও উল্লেখ করা হয়েছিল। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ আহমদ জাহিদ হামিদি জানিয়ে দিলেন, সেরকম কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।
এদিকে ২৫ আগস্ট সেনাবাহিনী ও পুলিশের বেশ কিছু তল্লাশি চৌকিতে হামলার অযুহাতে রোহিঙ্গা নিধন শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। জীবন বাঁচাতে গত এক মাসেই পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে।
মাঝখানে কয়েক দিন রোহিঙ্গাদের ঢল কিছুটা কমলেও আবার শরণার্থী শিবিরের দিকে তাদের আসার সংখ্যা বাড়ছে। রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সহিংসতাকে পাঠ্যপুস্তকে উল্লিখিত গণহত্যার উদাহরণের সঙ্গে তুলনা করেছে জাতিসংঘ।
সূত্র : ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে