‘ভর্তুকি নয়, ফসল ফলিয়ে লাভ চাই’

‘ভর্তুকি নয়, ফসল ফলিয়ে লাভ চাই’

ভর্তুকি নয়, পণ্যের উৎপাদন খরচ উঠিয়ে ১০ শতাংশ মুনাফা যেন করা যায়, আগামী অর্থবছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রীর কাছে সেই সুপারিশ করেছেন কৃষকরা।

শুক্রবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে ‘কৃষি বাজেট কৃষকের বাজেট’ এ আসা প্রান্তিক কৃষকের সুপারিশমালা আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে তুলে ধরেন চ্যানেল আই’র পরিচালক শাইখ সিরাজ।

ছয়টি জেলার তৃণমূল পর্যায়ে প্রান্তিক কৃষকদের সঙ্গে চ্যানেল আইয়ের মতবিনিময় অনুষ্ঠান মন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করা হয়।

কৃষকদের কাছ থেকে ৫৫টি সুপারিশ এসেছে, তার মধ্যে অন্যতম ছিল- ‘ভর্তুকি নয়, উৎপাদন খরচের ১০ শতাংশ লাভ চাই’।

কৃষকদের সুপারিশ সম্বলিত ‘কৃষিবাজেট কৃষকের বাজেট’ বিষয়ক একটি বই মন্ত্রীর হাতে তুলে দেন শাইখ সিরাজ।

অর্থমন্ত্রী বলেন, “আগামী বাজেট হবে সাধারণ মানুষের বাজেট, গ্রামের বাজেট। এতদিন আমরা শহরের মানুষ, ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের সুযোগ-সুবিধা মাথায় রেখে বাজেট দিয়েছি। কিন্তু এবার গ্রামের মানুষকে বিবেচনায় রেখে বাজেট দেওয়া হবে।”

মুহিত বলেন, ভর্তুকি বেশি হলে সরকারের জন্য ‘অসুবিধা’ হলেও কৃষি খাতে সার ও সেচে ভর্তুকি থাকবে, তেলেও বেশি দেব।

“কৃষি খাতে কোথায় কীভাবে ভর্তুকি দিলে কৃষকের জন্য মঙ্গল হয়, তা বিবেচনায় নিয়ে আমরা একটি নতুন ফর্মুলার কথা চিন্তা করছি,” বলেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, “চলতি অর্থবছরে কৃষি খাতে ভর্তুকি দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে ১০ হাজার কোটি টাকায় দিয়ে দাঁড়াবে। আমরা এই ভর্তুকির একটা অংশ আগামী বছরের বাজেটেও নিয়ে যাব।

“সে কারণে নতুন বাজেটে কৃষি খাতে ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ আপাত দৃষ্টিতে কম মনে হতে পারে। কিন্তু দুটি যোগ করলে (চলতি বছরের ভর্তুকির যে অংশ নতুন বাজেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং নতুন বরাদ্দ) কম হবে না।”

কৃষি বাজেট কৃষকের বাজেটে অন্য যে সব সুপারিশ করা হয়েছে তারমধ্যে রয়েছে, কৃষকদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দিতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় কৃষি বিষয়ে বিশেষ প্রচার মাধ্যম চালু, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ অন্যান্য কারণে ক্ষতি পুষিয়ে দিতে কৃষি বীমা চালু ইত্যাদি।

কৃষি বীমা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমরা চলতি বাজেটেই কৃষি বীমা চালু করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সাধারণ বীমার সঙ্গে আলোচনা করেও করতে পারিনি। এটা আমাদের ব্যর্থতা বলে আমি মনে করি।”

চলতি ২০১১-১২ অর্থবছরের বাজেটে বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি বাবদ ১৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল।

অর্থসচিব মোহাম্মদ তারেক এর আগে জানান, অর্থবছর শেষে ভর্তুকির পরিমাণ ৪০ হাজার কোটি টাকায় গিয়ে ঠেকবে।

অর্থ বাণিজ্য