আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আগামী তিন বছরে আইটি সেক্টরে প্রশিক্ষণ দিয়ে ৩ লাখ তরুণ-তরুণীকে দক্ষ করে তোলা হবে। আর ২০২১ সালের মধ্যে আইটি সেক্টরে ২০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। তাই আইটি সেক্টরে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে কাউকে আর কর্মসংস্থান নিয়ে ভাবতে হবে না।
বৃহস্পতিবার সকালে শেখ হাসিনা সফটওয়ার টেকনোলজি সফটওয়্যার পার্কের একটি অডিটোরিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আরও বলেন, আজকের এই চাকরি মেলাকে ঘিরে যশোরসহ এই অঞ্চলে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। হাজার হাজার ছেলে মেয়ে এখানে বায়োডাটা জমা দিতে এসেছে। তরুণদের এই উৎসাহ উদ্দীপনাকে কাজে লাগাতে পারলে অসাধ্য সাধন সম্ভব। উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দিতে পারলে এই তরুণরাই বিশ্ব জয় করবে।
পার্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হোসেনে আরা বেগমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, বেসিস সভাপতি মোস্তফা জব্বার, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, যশোর এমএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মিজানুর রহমান ও যশোরের জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য দেন, শেখ হাসিনা হাইটেক পার্ক প্রকল্পের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) জাহাঙ্গীর আলম।
এর আগে চাকরি মেলায় বায়োডাটা জমা দিতে সকাল থেকেই সফটওয়্যার পার্কে আসতে শুরু করে তরুণ তরুণীরা। শহরের সব পথ যেন শেষ হয়েছে হাইটেক পার্কে। দুপুর ১২টার মধ্যে অন্তত ২০ হাজার তরুণ তরুণী সেখানে জড়ো হন। বিপুল সংখ্যক এই চাকরিপ্রার্থীদেরকে সামলাতে গিয়ে অনুষ্ঠানসূচি ও কার্যক্রমেও অব্যবস্থপনা দেখা দেয়। ফলে চাকরিপ্রার্থীরা আর প্রতিষ্ঠানের স্টলগুলোতে গিয়ে সিভি জমা দিতে পারেননি। ক্যাম্পাসে কয়েকটি বাক্স দিয়ে বায়োডাটা সংগ্রহ করা হয়েছে। যদিও ৩১টি প্রতিষ্ঠিত আইটি প্রতিষ্ঠান মেলায় স্টল দেয়।