এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর থেকে পাঁচ নম্বর কেটে মেধাতালিকা তৈরির সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ফলে ৫ নম্বর কেটে মেধাতালিকা তৈরিতে আইনি কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে করা এক আবেদনের শুনানি শেষে বুধবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং রিটের পক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ।
এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে ৩ অক্টোবর আপিল শুনানি তারিখ ধার্য করে দেন। আজ (বুধবার) ওই চেম্বার জজ আদালতের আদেশ আপিল বিভাগ বহাল রেখেছেন।
গত ২১ আগস্ট প্রথম বর্ষে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির আবেদন (২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষ) আহ্বান করে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এই বিজ্ঞপ্তির ৬ নম্বর প্যারায় বলা হয়, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস বা বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় পূর্ববর্তী বছরের এইচএসসি উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের সর্বমোট নম্বর থেকে ৫ নম্বর কর্তন করে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে। ওই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৭ আগস্ট রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ।
পরে ১২ সেপ্টেম্বর রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ পাঁচ নম্বর কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে আদেশ দেন। পাশাপাশি রুল জারি করেন।
স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন), বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) চেয়ারম্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।