লোকজনকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য আর সমালোচনা করাটা যেন রীতিমত ট্রাম্পের অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। এতদিন পর্যন্ত গণমাধ্যম এবং সংবাদমাধ্যমকে এক হাত নিয়েছেন এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের প্রধান মার্ক জুকারবার্গ।
সম্প্রতি ট্রাম্প অভিযোগ করে বলেছেন ফেসবুক এবং টুইটার সব সময় তার বিরোধী। এক টুইট বার্তায় গত বুধবার ট্রাম্প বলেন, ‘ফেসবুক সবসময় ট্রাম্প-বিরোধী। সামাজিক মাধ্যমগুলোই ট্রাম্প-বিরোধী, ভুয়া বার্তা দেয়। এমনকি নিউ ইয়র্ক টাইমস এবং ওয়াশিংটন পোস্টও ট্রাম্প-বিরোধী হিসেবে ভূমিকা রাখছে। তাহলে কি সব যোগসাজশ? কিন্তু তার এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন জুকারবার্গ।
যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়া যে হস্তক্ষেপ করেছে তাতে ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমকে ব্যবহার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়ে যে তদন্ত চলছে তার অংশ হিসেবে ফেসবুক তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে খুব শিগগিরই ৩ হাজার বিজ্ঞাপন হস্তক্ষেপ করবে। ফেসবুকের ধারণা ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ও পরে ওই বিজ্ঞাপনগুলোতে অর্থায়ন করেছে রাশিয়ার কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে নভেম্বরের ১ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের ইন্টেলিজেন্স কমিটির কাছে হাজির হতে বলা হয়েছে ফেসবুক, টুইটার ও গুগলকে। নিমন্ত্রণ পাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে ফেসবুক ও গুগল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেখানে তারা হাজির হবেন কিনা তা নিশ্চিত নয়।
মার্কিন নির্বাচনের আগে জুকারবার্গ এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার রাজনীতিকে পছন্দ করেন না। তারই সূত্র ধরে হয়তো জুকারবার্গের বিরুদ্ধে মন্তব্য করলেন ট্রাম্প।