আজ ২৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস। দিবসটি মূলত পালন করা হয় মানুষকে সব ধরনের তথ্য জানার অধিকারের বিষয়ে সচেতন করতে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেছেন, তথ্যপ্রাপ্তি ও জানা মানুষের গণতান্ত্রিক ও নাগরিক অধিকার। বাংলাদেশের সংবিধানে তথ্য জানার অধিকার মানুষের অন্যতম মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে জনগণের চিন্তা ও বিবেক, বাক্ ও ভাবপ্রকাশ এবং সংবাদ ক্ষেত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। সরকার জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর। তথ্য জানার অধিকারকে অগ্রাধিকার দিয়েই বর্তমান সরকার ‘তথ্য অধিকার আইন ২০০৯’ প্রণয়ন করেছে এবং এ লক্ষ্যে তথ্য কমিশন গঠন করেছে। ফলে তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশে গণমাধ্যমের বিকাশ ও অগ্রযাত্রায় সবসময়ই অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ মেয়াদে প্রথম দেশে বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চালুর অনুমোদন দেয়া হয়। তথ্যের অবাধ প্রবাহকে আরও বিস্তৃত করতে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বিটিভি ওয়ার্ল্ড এবং সংসদ টেলিভিশনের পাশাপাশি ৪৪টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এবং ২২টি এফএম বেতারকেন্দ্র এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিও সম্প্রচারের অনুমতি দেয়া হয়েছে। ফলে তথ্যপ্রকাশ ও প্রচারের ব্যবস্থা সহজতর হয়েছে।