দাম কমিয়েও আবাসনে মন্দা কাটছে না

দাম কমিয়েও আবাসনে মন্দা কাটছে না

আবাসন ব্যবসায় মন্দাভাব দীর্ঘদিনের। নানা কারণে ফ্ল্যাট বিক্রি কমে গেছে। বিক্রি বাড়াতে রাজধানীতে এলাকাভেদে ফ্ল্যাটের দাম ১০ থেকে ৩০ শতাংশ কমানো হয়েছে। এরপরও এ খাতের মন্দাভাব কাটছে না।

জমি ও বাড়ি কেনা-বেচার অনলাইন প্রতিষ্ঠান লামুডি ডট কম ডট বিডি’র এক প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। সম্প্রতি লামুডি এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ফ্ল্যাটের বাজার পর্যালোচনা করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, দেশের আবাসন খাত ২০১২-১৫ সাল পর্যন্ত রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কঠিন সময় পার করেছে। ছোট ছোট অনেক প্রতিষ্ঠান টিকতে না পেরে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে।

রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ছাড়াও সীমিত ব্যাংকঋণ, শেয়ারবাজারে ধস এবং পর্যাপ্ত গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহের অভাবে রিয়েল এস্টেট শিল্প মুখ থুবড়ে পড়ে। ২০১৪ সালের পর এ খাতে দ্বিতীয় দফা মন্দাভাব পরিলক্ষিত হয়।

তবে বিরূপ এ পরিস্থিতিতে টিকে থেকে এখনও ব্যবসা পরিচালনা করছে প্রকৃত আবাসন কোম্পানিগুলো। তারা গ্রাহককে সেবা দেয়ার মন-মানসিকতা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মন্দার কারণে অনেক কোম্পানি ফ্ল্যাট বিক্রি করতে পারেনি। এ কারণে তারা ঢাকায় এলাকাভেদে ফ্ল্যাটের দাম ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়েছে। মানসম্মত ফ্ল্যাট নির্মাণেও মনোযোগী হয়েছে কোম্পানিগুলো।

রিয়েল এস্টেট শিল্পে বিনিয়োগের উৎকৃষ্ট সময় এখনই- জানিয়ে লামুডির ওই গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এখন আবাসন ঋণের সুদের হার কম। ঋণ পেতে সরকারও এখন সহায়ক বেশকিছু নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।

লামুডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যানি মারিয়া হারম্যানস এ প্রসঙ্গে বলেন, প্লট বা ফ্ল্যাট কেনার উপযুক্ত সময় এখনই। তবে ঢাকার মতো শহরে উপযুক্ত সম্পত্তি কোনটি সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া অনেক সময় কঠিন হয়ে যায়।

মন্দা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) সহ-সভাপতি (প্রথম) লিয়াকত আলী ভূইয়া বলেন, আবাসন ব্যবসার মন্দাভাব শুরু হয়েছে গত কয়েক বছর আগে থেকে। এখনও সেটা চলছে।

লামুডি’র গবেষণা প্রতিবেদনের সত্যতা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, শিগগিরই মন্দা কেটে যাবে। হাউস বিল্ডিংয়ের পক্ষ থেকে ফ্ল্যাটের ওপর লোন দেয়া হবে। আগামী মাসেই এ ঘোষণা আসতে পারে। এরপর ফ্ল্যাট বাণিজ্যের মন্দাভাব কেটে যাবে।

রিহ্যাব সূত্রে জানা গেছে, এখনও রাজধানী ঢাকায় রিহ্যাবের অধীনে প্রায় ১০ হাজার ফ্ল্যাট অবিক্রিত রয়েছে। ফ্ল্যাট বিক্রি করতে না পেরে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।

অর্থ বাণিজ্য