সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা আজ মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে।
ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী আজ সকালে বেল গাছের নিচে বিল্লে ষষ্ঠী পালন করা হবে। সন্ধ্যাকালে হবে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস। ঢাকের বোল, মন্ত্র, শঙ্খধ্বনি আর উলুধ্বনিতে কেঁপে উঠবে মন্দির পূজামণ্ডপ।
গতকাল ছিল দেবীর বোধন। ২৭ সেপ্টেম্বর মহাসপ্তমী, ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষ্ঠমী ও কুমারী পূজা, ২৯ সেপ্টেম্বর মহানবমী শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনের দুর্গোৎসব।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির তথ্য মতে, এবার সারা দেশে ৩০ হাজার ৭৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় ২৩১ মণ্ডপে পূজা হচ্ছে এবার। বিজয়া দশমীর দিন ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে বিজয়ার শোভাযাত্রা বের করা হবে। এই শোভাযাত্রা এবং প্রতীমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুর্গোৎসব।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, বাঙালি হিন্দুর প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। সারা দেশে যথাযথ উৎসাহ-উদ্দীপনায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদির মধ্য দিয়ে সাড়ম্বরে দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। বাংলাদেশসহ বহির্বিশ্বের হিন্দু সম্প্রদায়ের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রপতি।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, বাংলাদেশ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি। সংবিধানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমানাধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ এই মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে আমরা সবাই একসাথে উৎসব পালন করব। বাণীতে প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বী সব নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।