বহুল প্রতীক্ষিত মৌচাক-মালিবাগ সমন্বিত উড়ালসড়কের মূল অংশের নির্মাণকাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন চলছে ধোয়ামোছা, রং, বিদ্যুতের খুঁটি ও বাতি লাগানোর কাজ।
অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই রাজধানীর অন্যতম এ আলোচিত উড়ালসড়ক যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। দৈর্ঘ্যের দিক থেকে এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উড়ালসড়ক।
উড়ালসড়কটির বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্পের পরিচালক সুশান্ত কুমার পাল জাগো নিউজকে বলেন, গত জুনে উড়ালসড়কের মূল কাজ (মৌচাক-মালিবাগ-শান্তিনগর-রাজারবাগ-মগবাজার) শেষ হয়েছে। এখন ধোয়ামোছার কাজ চলছে, সেটাও শেষ পর্যায়ে।
তিনি জানান, উদ্বোধনের নির্দিষ্ট তারিখ এখনও ঠিক হয়নি তবে আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে যেকোনো দিন এটি উদ্বোধনের মাধ্যমে যানচলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ফ্লাইওভারের এই অংশটির উদ্বোধনের জন্য আমাদের প্রস্তুতি শেষের দিকে। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে এটি যানচলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। উদ্বোধনের সম্ভাব্য সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী যে দিন সময় দেবেন, সেদিন এটা উদ্বোধন করা হবে।
তবে অক্টোবরের ১৫ তারিখ রাজধানীর অন্যতম এ উড়ালসড়ক উদ্বোধন করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
এই উড়ালসড়ক নির্মাণকালে পুরোটা সময়জুড়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে এ এলাকার বাসিন্দাদের। এ সময় তাদের কাছে সবচেয়ে দুর্ভোগের নাম ছিল মৌচাক-মালিবাগ-শান্তিনগর-রাজারবাগ-মগবাজার এলাকা দিয়ে চলাচল। তবে অক্টোবরে এটি খুলে দেয়া হলে তাদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর হবে।
দৈর্ঘ্যের দিক থেকে সবচেয়ে বড় উড়ালসড়ক হলো ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ উড়ালসড়ক (গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী)।
এরআগে উড়ালসড়কের বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন সময় খুলে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সাতরাস্তা-মগবাজার-হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল, নিউ ইস্কাটন থেকে মৌচাক পর্যন্ত, এরপরের ধাপে বিএফডিসি মোড় থেকে কারওয়ান বাজার অংশ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ে খুলে দেওয়া হবে মৌচাক-মালিবাগ-শান্তিনগর-রাজারবাগ-মগবাজার।
২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রায় ৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই উড়ালসড়কের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।