রাজধানীর মধ্য বাড্ডার বৈঠাখালী এলাকায় আগুনে পুড়ে জেসমিন আক্তার (৩০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে তার দুই সন্তান।
রোববার ভোরে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে লাগা আগুনে দগ্ধ হওয়ার পর দুই শিশুসহ ওই নারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৮টার দিকে মৃত্যু হয় জেসমিনের।
দগ্ধ দুই শিশুর নাম- আমানুল্লাহ জিসান (১১) ও সানজিদা আক্তার (৯)। চিকিৎসকরা বলছেন, তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
পরে খবর পেয়ে বারিধারা ও এর আশপাশ এলাকা থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
বারিধারা ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবুল কালাম আজাদ জানান, গতরাত সাড়ে ৩টার দিকে বৈঠাখালির ওই এলাকার ফরিদের কাঠের বাড়ির নিচে ভাঙরির দোকানে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগে।
এতে কাঠের ওই বাড়িটির দ্বিতীয় তলায় থাকা পরিবারের ওই তিনজন দগ্ধ হন।
দগ্ধ জিসানের চাচা নুর আলম জানান, তাদের বাবা আব্বাস আলী কাতার প্রবাসী। দুই সন্তানকে নিয়ে জেসমিন ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন। রাতে দগ্ধ হওয়ার পর তাদের সবাইকে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হলে সকাল ৮টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জেসমিন।
ঢামেক বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডা.পার্থ শংকর পাল বলেন, জিসান ৩০ শতাংশ ও সানজিদা ২৮ শতাংশ পোড়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।