প্রবাসীদের ভোটার করার উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য ইসি একটি টিমও গঠন করেছে। দূতাবাসের মাধ্যমে প্রবাসীদের ভোটার করা হবে। মিলবে স্মার্ট কার্ডও। ইসির কর্মকর্তারা বিদেশে তথ্য সংগ্রহ করে যাচাই-বাছাইয়ের পর তাদের ভোটার করা হবে।
জানা গেছে, প্রবাসীদের ভোটার করতে একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্পও (পাইলট) হাতে নিয়েছে ইসি। এ প্রকল্পের আওতায় সৌদি আরব, কাতার ও মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রবাসীদের ভোটার করা হবে। পর্যায়ক্রমে সবাই আসবে ভোটার তালিকার আওতায়। জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগ (এনআইডি উইং) কর্তৃপক্ষ এটি করবে।
ইসি সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি খসড়া প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে। এখন চলছে পর্যালোচনা। যাচাই-বাছাইয়ের পর প্রস্তাবটি এনআইডি উইং নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করবে। তাদের প্রস্তাব আরেক দফা যাচাই-বাছাইয়ের পর সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করা বাঙালিদের ভোটার করার প্রক্রিয়া শুরু করবে
এনআইডির ডিজি ব্রি. জে. মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম শনিবার জাগো নিউজকে বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় অনেক প্রবাসী জমির নিবন্ধন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন না। এমনকি দেশের বাইরে কারাগারে গেলেও তারা যে বাংলাদেশি তা বলতে পারেন না। এজন্য প্রবাসীদের ভোটার করার চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে। কীভাবে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা যায়- এ বিষয়ে ইতোমধ্যে তৈরি একটি প্রস্তাবনা পর্যালোচনা চলছে।
এর আগে প্রবাসীদের ভোটার করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন সাবেক সিইসি কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ কমিশন। তাদের প্রস্তাবে, এনআইডির মাধ্যমে প্রবাসীদের জন্য অনলাইনে বায়োমেট্টিক সংগ্রহের সিদ্ধান্ত ছিল। তবে আগের প্রস্তাব বাদ দিয়ে প্রবাসে থাকাবস্থায় প্রবাসীদের ভোটার করার প্রস্তাব প্রস্তুত করা হয়েছে।
এছাড়া ১৯৯৮ সালে দেশের উচ্চ আদালত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার সংবিধান স্বীকৃত বলে ঘোষণা দিলেও দীর্ঘ ১৮ বছরে তা বাস্তবায়ন হয়নি। বিশ্বের ১৫৭টি দেশে কোটির উপরে প্রবাসী রয়েছে। বর্তমান কমিশনের উদ্যোগে প্রবাসীদের ভোটার করলে দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হবে বলে আশা করছেন এ সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকরা।