এবার দুর্গাপূজার একাদশীর দিন মহররম থাকায় সে দিন পূজা বিসর্জন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার রাজ্য সরকার। এ নির্দেশের ফলে সমালোচিত হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিসর্জন নিয়ে চলছে বিতর্ক। এই বির্তককে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলছেন মমতা।
মমতা বলেন, আমি দুর্গাপূজার উদ্বোধন করলে বা গণেশপূজায় অংশ নিলে তখন তাকে প্রশ্রয় দেয়া বলা হয় না কেন? যত সমস্যা ঈদ বা মহররম নিয়ে।
বুধবার বিকেল থেকে কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণে একের পর এক দুর্গাপ্রতিমার উদ্বোধনের সময় একাধিক মণ্ডপে বিসর্জন–বিতর্কের প্রসঙ্গ তুলে বার্তা দেন মমতা। প্রথমে হরিদেবপুরে একটি পূজার উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সহিষ্ণুতা বাংলার সংস্কৃতি। যারা এর মর্যাদা দেয় না, তাদের অশ্রদ্ধা করি বলব না। কিন্তু এটা বলবই যে তাদের ভালোবাসি না। যারা বাংলাকে চেনে না, এখানকার ঐতিহ্য জানে না, তাদের জন্য করুণা হয়।
প্রসঙ্গটি আরও স্পষ্ট হয় পাম অ্যাভিনিউয়ে আর একটি পূজামণ্ডপে এসে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হঠাৎ শুনছি, আমি নাকি কাউকে প্রশ্রয় দিয়েছি। তাই সরকার এবার বিসর্জনের নিয়ন্ত্রণ-বিধি তৈরি করেছে। এত কটূক্তি, এত প্রশ্ন কেন? এটা যদি প্রশ্রয় দেয়া হয়, তাহলে যতদিন বাঁচব, ততদিন সেই প্রশ্রয় দিয়ে যাবো। আমাকে গুলি করে মারলেও এই কাজ আমি করে যাব। আমার কোনও ভেদ-বিচার নেই। কারণ, এটাই বাংলার সংস্কৃতি, আমার সংস্কৃতি।
মমতার অভিযোগ, কিছু লোক নিজেদের স্বার্থে এ সব প্রশ্ন তুলছেন। এটা রাজনৈতিক চক্রান্ত।