অনুমোদিত ৫০ হাজার মেট্রিক টন চালসহ এ পর্যন্ত সরকার থেকে সরকার (জি টু জি) পদ্ধতিতে মোট ৯ লাখ টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে। এর মধ্যে দুই লাখ টন চাল এসেছে। দেড় লাখ টন চাল আসছে (রাস্তায়)। বাকি সাড়ে ৫ লাখ টন ১২ নভেম্বরের মধ্যে আসবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য সচিব মো. কায়কোবাদ হোসাইন।
বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জি টু জি পদ্ধতিতে আমদানি হলে দাম বেশি হয় কিন্তু আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে চাল আসলে দাম কম হয় কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, আন্তর্জাতিক টেন্ডারে অনেক সময় বিভিন্ন কোম্পানি চাল আমদানি করে দেয়ার চুক্তিভুক্ত হলেও পরে আমদানি করে না। তাই সমস্যার সৃষ্টি হয়। কিন্তু জি টু জি-তে চুক্তি হলে আমদানি কনফার্ম এবং অবশ্যই চালের মান ভালো হয়।
বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বৈঠকে আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্যাকেজ-৪ এর আওতায় ৫০ হাজার টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছে কিমিটি। প্রতি টন ৪৩৮ মার্কিন ডলারে এ চাল সরবরাহের দায়িত্ব পেয়েছে থাইল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান মেসার্স সিয়াম রাইস ট্রেডিং লিমিডেট। ৫০ হাজার টন চাল আনতে মোট খরচ হবে টাকায় ১৮১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।