পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) ফিক্সিং করার দায়ে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলেন দেশটির জাতীয় দলের ব্যাটসম্যান খালিদ লতিফ। আজ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) অ্যান্টি করাপশন ইউনিটের ট্রাইব্যুনালে এই রায় দেয়া হয়।
পিএসএলে পিসিবির অ্যান্টি করাপশন কোর্ডের অধীনে মোট ছয়টি অভিযোগ আনা হয়। দীর্ঘ তদন্তে তার প্রতি ছয়টি অভিযোগই সত্য বলে প্রমাণিত হয়। এ কারণেই ৫ বছরের জন্য ক্রিকেটের সব ধরনের কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। একই সঙ্গে ১০ লাখ পাকিস্তান রুপি জরিমানা করা হয়।
চলতি বছরই পিএসএলের যে আসর অনুষ্ঠিত হয়েছিল, সেখানে খালিদ লতিফ অংশ নেন ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের হয়ে। বয়স বেশি হলেও পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খালিদ লতিফের ২০০৮ সালে অভিষেক ঘটলেও মাত্র ৫টি ওয়ানডে খেলেন তিনি। ২৯.৪০ গড়ে রান করেছেন ১৪৭। সর্বোচ্চ রান ৬৪। টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ১৩টি। ২১.৫৪ গড়ে রান করেছেন ২৩৭। সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ৫৯। কোন টেস্ট খেলা হয়নি তার।
খালিদ লতিফ যে ম্যাচে ফিক্সিংয়ের জন্য নিষিদ্ধ হলেন, একই ম্যাচে ফিক্সিংয়ের একই ঘটনায় ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন আরেক ব্যাটসম্যান শারজিল খান।
যদি খালিদ লতিফের শাস্তি কমানো না হয়, তাহলে এর অর্থ ২০২২ সালের আগে তিনি আর ক্রিকেটে ফিরতে পারছেন না। ৩১ বছর বয়সী খালিদ লতিফের ২০২২ সালে বয়স হবে ৩৬ বছর। সে পর্যন্ত তিনি আর ক্রিকেট খেলার উপর্যুক্ত থাকবেন কি না সেটাও এক সন্দেহের বিষয়।
পিএসএল স্পট ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞার শাস্তি দেয়া হয়েছে মোহাম্মদ ইরফান এবং মোহাম্মদ নওয়াজের ওপরও।