মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নাগরিকদের নির্যাতন, ধর্ষণ ও গণহত্যার প্রতিবাদে ইতালিতে সমাবেশ করেছে বিভিন্ন সংগঠন। সোমবার রাজধানী রোমের পিয়াচ্ছা সান্তা মারিয়া মাজ্জোরে স্থানীয় সময় বিকেল চারটার দিকে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যা হালাকু খানের বাগদাদ ধ্বংসের নির্মমতাকেও হার মানিয়েছে। মুসলমানদের দেশ থেকে বিতাড়িত করতেই সেখানে সেনাবাহিনী গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। শান্তিতে নোবেল জয়ী অং সান সুচিও রোহিঙ্গা নিধনে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করছেন। এ জন্য শুধু নিন্দা নয়, বরং মিয়ানমার সরকারকে গণহত্যা ও নিপীড়ন বন্ধে বাধ্য করতে বিশ্ববাসীকে ঐক্যবদ্ধ ও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।
তারা বলেন, মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ বন্ধ করতেই হবে। একই সঙ্গে নাগরিকত্ব বহাল রেখে তাদের নিরাপদে স্বদেশে ফিরিয়ে নিতে হবে।
বাংলাদেশ সমিতি ইতালির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নায়েব আলী বলেন, এ সংকট নিরসনের জন্য বাংলাদেশের আরও বেশি দৃশ্যমান কূটনৈতিক উদ্যোগ দরকার। এ জন্য অন্য দেশের কাছ থেকে সমর্থন আদায় করা, তাদের মধ্য থেকে চাপটা আরও বেশি তৈরি করতে হবে।
বাংলাদেশ সমিতি, ইতালি আয়োজিত এই সমাবেশে দলমত নির্বিশেষে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ইতালি, আফ্রিকা, মরক্কোসহ বিভিন্ন দেশের সাধারণ জনগণ অংশ নেন। সমাবেশ শেষে রোহিঙ্গা মুসলমানদের মৃত্যুতে গায়েবি জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সমিতি ইতালির সাবেক সভাপতি নূরে আলম ছিদ্দিকি বাচ্চুর তত্ত্বাবধানে জালালাবাদ কল্যাণ সংঘ বৃহত্তর সিলেট, উলামা কাউন্সিল ইতালি, মসজিদে রোম অ্যান্ড মাদরাসা, ইউরোপ প্রবাসী বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন, বৃহত্তর ঢাকা সমিতি, বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি, বাংলাদেশ ব্যাংকার ব্যবসায়ী সমিতি, যুব উন্নয়ন ব্যবসায়ী সমিতি, সানপাওলো সামাজিক যুব সংঘ, কানেক্ট বাংলাদেশ ইতালি, মানিকগঞ্জ জেলা সমিতি, সেন্তচেল্লে ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ খ্রিস্টান সমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।