রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সংকট কীভাবে সমাধান করা যায়, তাও যুক্তরাষ্ট্র দেখবে বলে জানান ট্রাম্প।
দেশীয় বার্তা সংস্থা ইউএনবির খবরে বলা হয়, সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের ফাঁকে এক পার্শ্ব বৈঠকে শেখ হাসিনাকে এ কথা জানান ট্রাম্প।
‘জাতিসংঘের সংস্কার : ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন’ শীর্ষক এ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে জাতিসংঘের ৭২তম সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিতে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন।
পররাষ্ট্রসচিব এম শহীদুল হক প্রেস ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প ও শেখ হাসিনার এ পার্শ্ব বৈঠকের কথা জানিয়েছেন।
এদিকে, প্রায় এক মাস ধরে চলমান রোহিঙ্গা সংকটে পুরো বিশ্ব সরব হলেও এই প্রথমবারের মতো এ নিয়ে মুখ খুললেন পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এছাড়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এই প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সদর দফতরে এলেন তিনি।
আলাপকালে শেখ হাসিনার কাছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির কথা জানতে চান ট্রাম্প। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ভালো।
বিফ্রিংয়ে শহীদুল হক জানান, আবুধাবি থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে যেতে একই উড়োজাহাজে ছিলেন শেখ হাসিনা ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। এ সময় তাদের মধ্যে আলাপকালে সুষমা স্বরাজ প্রধানমন্ত্রীকে জানান, রোহিঙ্গা ইস্যুতে তার দেশ বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। এ সংকট সমাধানেও ভারত বাংলাদেশকে সহায়তা করবে।
আগামী ২৩-২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ কমিশনের বৈঠকে যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন সুষমা স্বরাজ- এ তথ্য জানান শহীদুল হক।
পররাষ্ট্রসচিব আরও জানান, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের প্রধান ফিলিপ্পো গ্রানদি রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহায়তার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। এছাড়া বাংলাদেশ ভ্রমণের কথাও জানান তিনি।
গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে পুলিশ পোস্টে হামলা চালায় রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা। এ ঘটনার জের ধরে রাখাইনের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযানের নামে ধর্ষণ-নির্যাতন-হত্যা ও বসতিতে অগ্নিসংযোগ শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী।
প্রাণে বাঁচতে সীমান্ত পেরিয়ে এরইমধ্যে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে চার লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। তবে মিয়ানমার এদের তাদের নাগরিক বলে অস্বীকার করে আসছে। এ ইস্যুতে ব্শ্বিব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠলেও এ নিয়ে নিশ্চুপ ছিলেন মহাশক্তিধর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।