মহান মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত এবং বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকাকে অপমানিত করার অভিযোগে দায়ের করা মানহানির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ৫ অক্টোবরের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ওই সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণ না করলে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও আদেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর হাকিম নুর নবী।
রোববার খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে, বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সমনের জবাব দেয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সে দিন আদালতে হাজির না হওয়ায় মামলার বাদী তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন করেন। আদালত আদেশের জন্য ১৭ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
২২ মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম নুর নবী খালেদাকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন।
২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর তেজগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক মশিউর রহমান (তদন্ত) দায়ের করা মামলায় অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন। মামলার অপর আসামি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যু হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি মানহানির মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী। আদালত ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।
মামলায় জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ৭ নভেম্বর সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতির পদ দখল করেন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশে ফিরে এলে জিয়াউর রহমান তাকে হুমকি ও অবরুদ্ধ করে রাখেন।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের সঙ্গে জোট করে নির্বাচিত হয়ে সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি রাজাকার-আলবদর নেতাকর্মীদের মন্ত্রী-এমপি বানিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা তাদের বাড়িতে এবং গাড়িতে তুলে দেন।