সামরিক বাহিনীর কর্মীদের মৃত্যু-অক্ষমতায় সহায়তা বাড়ল

সামরিক বাহিনীর কর্মীদের মৃত্যু-অক্ষমতায় সহায়তা বাড়ল

চাকরিরত অবস্থায় সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর কর্মীদের মৃত্যু ও দুর্ঘটনায় অক্ষম হওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তার পরিমাণ বেড়েছে। চাকরিতে থাকা অবস্থায় সামরিক বাহিনীর কোনো কর্মী মৃত্যুবরণ করলে তার পরিবারকে ৮ লাখ টাকা দেয়া হবে। অপরদিকে গুরুতর আহত হয়ে স্থায়ী অক্ষম হলে দেয়া হবে ৪ লাখ টাকা।

গত ৯ সেপ্টেম্বর যৌথ বাহিনীর নির্দেশাবলী সংশোধনের মাধ্যমে সহায়তার পরিমাণ বাড়িয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারি করা হয়েছে।

এর আগে, গত বছরের ২৭ জুন বেসামরিক প্রশাসনে চাকরিরত অবস্থায় কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর মৃত্যুর ক্ষেত্রে সহায়তা ৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮ লাখ টাকা এবং স্থায়ী অক্ষমতার ক্ষেত্রে ২ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকা করা হয়। এখন সামরিক প্রশাসনে কর্মরতদের সহায়তার পরিমাণ বাড়ানো হল। একই সময়ে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ভাতা ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা করা হয়।

সামরিক প্রশাসনে এ বর্ধিত সুবিধা আদেশ জারির দিন থেকেই কার্যকর হয়েছে।

আদেশে বলা হয়েছে, কোনো কমিশন্ড অফিসার ও সশস্ত্র বাহিনীর কোনো জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার (জেসিও) বা অন্যান্য পদবির কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে ৮ লাখ টাকা ও স্থায়ীভাবে অক্ষম হওয়ার ক্ষেত্রে ৪ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাবেন।

এছাড়া চাকরিরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে পরিবারের সদস্যদেরকে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য আর্থিক সহায়তার পরিমাণ বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা করা হয়েছে। আগে এর পরিমাণ ২৫ হাজার টাকা ছিল বলে জানা গেছে।

এক্ষেত্রে আদেশে বলা হয়েছে, সকল বাহিনীর ক্যাডেট, মিডশিপম্যান, ফ্লাইট ক্যাডেট, এএফএনএস (আর্মড ফোর্সেস নার্সিং সার্ভিস) ক্যাডেট এবং আইএসএসবি প্রতিযোগীসহ সামরিক বাহিনীর কমিশন্ড অফিসার এবং এএফএনএস অফিসাররা চাকরিরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে ৩০ হাজার টাকা হারে প্রযোজ্যতা অনুসারে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ব্যয় ভাতা হিসাবে পাবেন।

রিক্রুটসহ সশস্ত্র বাহিনীর অনারারি কমিশন্ড অফিসার, জেসিও, জুনিয়র কমিশন্ড পদবির কোনো কর্মকর্তা, এমওডিসি (মিনিস্ট্রি অব ডিফেন্স কন্সটেবলারি) ও সমতুল্য ব্যক্তিরাও চাকরিরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে তার পরিবার এই হারে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ভাতা পাবেন।

বাংলাদেশ