ভারতে আশ্রয় নেয়া ৪০ হাজার রোহিঙ্গাকে মোদির সরকারের বিতাড়নের চেষ্টার মধ্যেই তাদের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। শুক্রবার এক টুইট বার্তায় রোহিঙ্গাদের সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।
মমতা ব্যানার্জি বলেন, রোহিঙ্গারাও সাধারণ মানুষ, তারা সন্ত্রাসী নয়। আমাদের উচিত জাতিসংঘের ডাকে সাড়া দিয়ে রোহিঙ্গাদের সহায়তা করা।
মমতা এমন এক সময়ে রোহিঙ্গাদের পক্ষে কথা বললেন, যখন দেশটির স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু রোহিঙ্গাদের অবৈধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যুতে ভারতকে ভিলেন বানানোর অপচেষ্টা চলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে ভারতে ঢুকে পড়া রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্র সরকার। এ ব্যাপারে গত সপ্তাহে রিজিজু বলেন, ‘শরণার্থী সমস্যা সমাধান করার জন্য ভারতের কারও কোনো উপদেশের প্রয়োজন নেই। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি উদ্বাস্তুকে ভারতই আশ্রয় দিয়েছে এবং গ্রহণ করেছে।’
ভারত সরকারের মতে, দেশটিতে বর্তমানে ৪০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। তবে জাতিসংঘের নথিভুক্ত শরণার্থীদের সংখ্যা মাত্র ১৪ হাজার।
মুহাম্মদ সালিমুল্লাহ ও মুহাম্মদ শাকির নামে দুজন রোহিঙ্গা অভিবাসী তাদের বিতাড়ন কর্মসূচির বিরোধিতা করে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন। আবেদনে তারা রোহিঙ্গাদের বিতাড়নে ‘দমন-পীড়নমূলক পদক্ষেপ’ না নেয়ার জন্য মিনতি করেছেন।
চলতি বছরের জুলাইয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের মতো অবৈধ অভিবাসীরা সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত হতে পারে। ফলে কঠোর নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে ভারত। সে কারণে রাজ্য সরকারকে তাদের চিহ্নিত ও দেশ থেকে বের করে দিতে বলা হয়।
তবে ভারত থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বের করে দেয়ার সিদ্ধান্তে জাতিসংঘের মহাসচিবের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব অান্তোনিও গুতেরাস বলেছেন, শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো যাবে না, সেখানে তাদের নির্যাতনের আশঙ্কা রয়েছে।