মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তাণ্ডবে রাখাইন রাজ্য ছেড়ে বাঁচার জন্য বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য চার হাজার কোটি টাকা ত্রাণ হিসেবে দিচ্ছেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ।
এছাড়া রোহিঙ্গাদের জীবন বাঁচাতে সীমান্ত খুলে দিয়ে তাদের অাসতে এবং খাওয়া-দাওয়াসহ চিকিৎসা সহায়তা দেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি। সেই খরচ সৌদি সরকার বহন করারও ঘোষণা দিয়েছেন। ইতোমধ্যেই তিনি ৫০ টন খাবার, ওষুধ ও চিকিৎসক পাঠানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
সৌদি বাদশাহ জাতিসংঘে রোহিঙ্গা গণহত্যার নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন করান যুক্তরাষ্ট্রকে দিয়ে। তবে নিন্দা প্রস্তাবটি আটকে দিয়েছে শি জিনপিং এর দেশ চীন। তার পরেও থেমে যায়নি সৌদি আরব। দেশটি স্থায়ীভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছে রোহিঙ্গাদের জন্য।
পাঁচ লাখ রোহিঙ্গাকে সৌদি সরকার আশ্রয় ও কাজের সুযোগ করে দিয়েছে। দেশটি গত ৩৫ বছর ধরে রোহিঙ্গাদের সাহায্য করে আসছে। অন্যদিকে অং সান সু চির সরকার সৌদিকে প্রতিপক্ষ বল মনে করে। এমনকি চলতি সহিংসতায় সৌদি আরবের সাতজন নাগরিককে অভিযুক্ত করেছে দেশটি।
রোহিঙ্গাদের জন্য কক্সবাজারের উখিয়ায় রাবেতা হাসপাতালসহ রাখাইনে বেশ কিছু হাসপাতাল, মসজিদ, মাদ্রাসা নির্মাণ করে দিয়েছে সৌদি আরব। সব কিছুই রাবেতা নামক এনজিওর মাধ্যমে করেছে সৌদি আরব।
এছাড়া রোহিঙ্গা ভিশন টিভি, আরকান টিভিসহ রোহিঙ্গাদের যাবতীয় গণমাধ্যম সৌদি আরব থেকে সম্প্রচার হয় এবং যাবতীয় কার্যক্রম চালায় তারাই।
২৫ আগস্টের পর চার লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে ঠিকই। কিন্তু বিত্তবান রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে না গিয়ে সৌদি আরব ও মালয়েশিয়া চলে যান। রোহিঙ্গাদের জন্য সৌদি আরবের দরজা সবসময় খোলা। তবে বর্তমানে কিছুটা কড়াকড়ি আরোপ করেছে সৌদি প্রশাসন।
সূত্র : ইউপিআই