সাকিবের ছুটি চাওয়াতে হতবাক হয়েছিল ক্রিকেটপ্রেমিরা। হঠাৎ কি এমন হল যে, সাকিব ছয় মাসের জন্য টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিশ্রামে যেতে চাচ্ছেন! সারাদেশে ক্রিকেট অনুরাগী সবার মনে একটাই প্রশ্ন, এটা কি নিছকই বিশ্রাম নাকি অন্যকিছু। অবশেষে সাকিব নিজেই জবাব দিলেন এই প্রশ্নের।
আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে ডিওএইচএসে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সাকিব জানান, দলকে দীর্ঘ সময় সার্ভিস দেয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ছয় মাস ছুটির কারণে পাঁচ বছর বেশি দলে খেলতে পারব।
তবে এর আগে গতকাল (সোমবার) সাকিব তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ভক্তদের উদ্দেশ্যে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। তবে তার ছুটি নিয়ে আজই প্রথম গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন তিনি।
কয়েকদিন ধরেই ক্রিকেট দুনিয়ার অন্যতম আলোচিত বিষয় ছিল, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ছয় মাসের বিরতি। সাকিব বোর্ডের কাছে ছয় মাসের বিরতির আবেদন করলেও বোর্ড তাকে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দুই টেস্টের ছুটি দিয়েছেন। তবে সাকিব চাইলে বোর্ড তাকে দ্বিতীয় টেস্টে খেলাতে রাজি আছে।
এসব বিষয় নিয়ে যখন চলছে তর্ক-বিতর্কের ঝড় তখনই মুখ খুললেন সাকিব । আর বললেন, দলকে দীর্ঘ সময় ধরে সার্ভিস দেয়ার জন্যই আমার এমন সিদ্ধান্ত।
সাকিব নিজের ভবিষ্যতের কথা ভেবেও এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, আমি জেনে বুঝেই সিদ্ধান্তটা নিয়েছি, আমার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে। ধন্যবাদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে যে, তারা আমাকে বুঝতে পেরেছেন।
সাকিব বিশ্রামে থাকলেও তার অভাববোধ করবে দল। যার প্রমাণ মেলে দল ঘোষণার সময় প্রধান নির্বাচকের বক্তব্যে। প্রধান নির্বাচক নান্নু বলেছিলেন, সাকিব না থাকায় দল ব্যাকফুটে থাকবে। তার অভাববোধ হবে; কিন্তু কি আর করা? সে বিশ্রাম চেয়ে ছুটি চেয়েছে। বোর্ডও ছুটি মঞ্জুর করেছে। তাই তাকে ১৫ জনের দলে রাখা হয়নি। তবে সাকিব চাইলে দ্বিতীয় টেস্টেই দলে ফিরতে পারবে।