খ্যাতিমান আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল- হককে ‘বালকসূলভ’ কথা না বলে ‘দায়িত্বশীল’ কথা বলার আহ্বান জানিয়েছেন আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. কামরুল ইসলাম।
শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদ আয়োজিত ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমুদ্র বিজয় এবং সরকারের সাফল্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কামরুল বলেন, ‘ব্যারিস্টার রফিকুল হক বলেছেন, সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনা ধামাচাপা দিতে ইলিয়াসকে অপহরণ করা হয়েছে। কোনো ভারসাম্যহীন ব্যক্তি ছাড়া এ কথা কেউ বলতে পারেন না। রফিকুল হকের কথা শুনে আমার স্কুল পড়ুয়া নাতনি বলেছে, বুড়ো ব্যাটা বলে কি!’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতা এম ইলিয়াসকে বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে। তার নিখোঁজের ঘটনাকে ইস্যু বানিয়ে বিরোধী দল দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি এবং গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চাচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘দেশের কতিপয় বুদ্ধিজীবী হীনমন্যতায় ভুগছেন এবং কতিপয় বুদ্ধিজীবী বিএনপিকে পরোক্ষভাবে সাহায্য করছেন। তারা দুই দলকে প্যারালাল করার চেষ্টা করছেন। তারা তৃতীয় শক্তির উত্থানেও সাহায্য করছেন।’
ইলিয়াসকে খুঁজে বের করতে বিএনপি সরকারকে কোনো ধরনের সাহায্য করছে না বলেও দাবি করেন কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের উচিত, আমাদের ভালো কাজের প্রচার করা এবং খারাপ কাজের গঠনমূলক সমালোচনা করা।’
‘আমরা বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের শাসনামলে দেখেছি, কোনো ভদ্রলোককে র্যাব তুলে নেয়নি। গুম এবং অপহরণের অপসংষ্কৃতি থেকে আমাদের বের হতে হবে। ইলিয়াসের পর আরো কি হবে আমরা জানি না।’
সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন। বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. স ম রেজাউল করিম, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সহকারী সচিব সাইফুজ্জামান শিখর, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী সেলিম।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ইউসুফ হুমায়ূন বলেন, ‘তিনটি কারণে ইলিয়াসকে অপহরণ করা হতে পারে। এগুলো হচ্ছে রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক ও পারিবারিক।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির উচিত, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সাহায্য করা। যাতে করে ইলিয়াস আলীকে আল্লাহর রহমতে সুস্থ শরীরে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে আনা যায়।’