মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যাতে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দাবি করতে না পারে সেজন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য রোহিঙ্গাপ্রবণ ৩২টি উপজেলায় তথ্য যাচাই-বাছাই করে ভোটার নিবন্ধন করতে ১৫ দিন সময় বাড়ানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলোকে ইতোমধ্যেই বিশেষ এলাকা ঘোষণা করেছে ইসি। উপজেলাগুলো হচ্ছে- কক্সবাজারের সদর উপজেলা, চকোরিয়া, টেকনাফ, রামু, পেকুয়া, উখিয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া। বান্দরবান জেলার সদর, রুমা, থানচি, বোয়াংছড়ি, আলীকদম, লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি। রাঙ্গামাটি জেলার সদর, লংগদু, রাজস্থলী, বিলাইছড়ি, কাপ্তাই, বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি ও বরকল এবং চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী, পটিয়া, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগড়া, বাঁশখালী, রাঙ্গুনিয়া ও কর্ণফুলী।
এ সংক্রান্ত জারিকৃত ইসির এক চিঠিতে বলা হয়, এসব এলাকায় ভোটার আবেদন ফরমসমূহ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই-বাছাই, অনুসন্ধান, পরিদর্শনসহ নিবন্ধন কার্যক্রমের সময়সীমা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৫ দিন বাড়িয়ে ২০ নভেম্বর করা হলো। তবে নিবন্ধনযোগ্য ভোটারের ডাটা অ্যান্ট্রি ও আপলোডসহ ভোটার তালিকার খসড়া ও চূড়ান্তভাবে প্রকাশের তারিখ অপরিবর্তিত থাকবে।
এ বিষয়ে ইসির কর্মকর্তারা জানান, সংশ্লিষ্ট উপজেলায় ভোটার হওয়ার যোগ্যদের তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের জন্য বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের পুলিশের ওপর রোহিঙ্গাদের চালানো হামলার প্রতিক্রিয়ায় রাখাইনে সেনা অভিযান শুরু হয়েছে। যার কারণে তিন লক্ষাধিক রোহিঙ্গা মুসলমান মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হয়েছে। বাংলাদেশে শরণার্থীর স্রোত এখনো অব্যাহত রয়েছে। বহু রোহিঙ্গা নিহত হচ্ছেন এবং সীমান্তের দুপাশেই তৈরি হয়েছে এক মানবিক পরিস্থিতি।