ইরমার তাণ্ডবে ফ্লোরিডায় এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ফ্লোরিডার মূল ভূখণ্ডে আঘাত হেনেছে ইরমা। ঘূর্ণিঝড়টি ১৫ ফুট উচ্চতায় তাণ্ডব চালাতে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। খবর বিবিসির।
এদিকে, ইরমার আঘাতে পূর্ব উপকূলের মারকো দ্বীপে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। সে সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৯২ কিলোমিটার।
ফ্লোরিডায় আঘাত হানার আগে ক্যাটাগরি চার মাত্রার ঘূর্ণিঝড়টির গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২০৯ কিলোমিটার। এর আগে কয়েকটি ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে ইরমার আঘাতে ২৫ জনের মৃত্যু হয়।
তবে ফ্লোরিডায় আঘাত হানার পর ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি হারিয়ে ক্যাটাগরি তিন বা দুইয়ে নেমে আসবে। ফ্লোরিডার কেন্দ্রস্থল, টাম্পা, ফোর্ট মায়ার্স, নেপলস এবং কী ওয়েস্ট এলাকায় ইরমা বিধ্বংসী তান্ডব চালাতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া দপ্তর।
ফ্লোরিডায় প্রায় ৩৫ লাখ বাড়ি-ঘর বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া মিয়ামি শহরের বিভিন্ন স্থান পানিতে তলিয়ে গেছে।
মার্কিন জাতীয় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছে, ইরমার প্রভাবে শনিবার রাত থেকেই তুমুল ঝড়ো-হাওয়া ও বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে ফ্লোরিডায়।
ইরমা আতঙ্কে ও সর্বোচ্চ পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে রাজ্যটির অন্তত ৬৩ লাখ বাসিন্দাকে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র ও নিরাপদে সরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
ফ্লোরিডার গভর্নর রিক স্কট রাজ্যের অধিবাসীদের সতর্ক করে দিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলেছেন। এছাড়া ঝড়ের সময় কাউকে বাইরে থাকতে নিষেধ করেছেন।
এদিকে, সোমবার ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) জানিয়েছে, ফ্লোরিডার ভূখণ্ডে এই ঝড় ভয়াবহ হতে পারে।
শুরুতে পাঁচ মাত্রার শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টি ক্যারিবীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দ্বীপে আঘাত হানে। এতে কমপক্ষে ২৮ জন নিহত হয়েছে।
দুর্যোগ সংক্রান্ত একটি বড় ঘোষণা এবং ফ্লোরিডার জন্য জরুরি সহায়তার জন্য অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি এই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়কে ‘বড় দানব’ বলে উল্লেখ করেছেন। দুর্যোগে অসহায় মানুষদের সহায়তায় কাজ করার জন্য তিনি ফেডারেল সংস্থাগুলোর প্রশংসা করেছেন। শিগগিরই দুর্যোগ কবলিত এলাকাগুলোতে যাবেন বলেও জানান ট্রাম্প।