মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মানবিক সহায়তা দেয়া ও সহায়তা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে ভূমিকা পালন করছে তার প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘের এক হিসাব অনুযায়ী, রাখাইনে সন্ত্রাসী হামলা ও গ্রামগুলোতে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ডের মতো ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর বিবিসির।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে বিষয়টি নিয়ে তারা জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন, রেডক্রসসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।
এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের মানবিক সহায়তায় এ পর্যন্ত প্রায় ৬৩ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র ভিভিয়ান ট্যান বিবিসিকে জানিয়েছেন, গত দু’সপ্তাহে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী।
মাত্র দু’দিন আগেও জাতিসংঘের কর্মকর্তারা সর্বশেষ দফায় আসা শরণার্থীর সংখ্যা এক লাখ ৬২ হাজার বলে উল্লেখ করেছিলেন।
মাত্র দু’দিনের ব্যবধানে শরণার্থীর সংখ্যা এক লাখ বেড়ে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে ভিভিয়ান ট্যান বলেন, গত দুই দিনে তারা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়া আরও অনেক শরণার্থীদের সন্ধান পেয়েছেন, যাদের কথা তারা আগে জানতেন না।
তিনি বলেন, সেপ্টেম্বরের ছয় ও সাত তারিখে জাতিসংঘের সব সংস্থা এবং বিভিন্ন এনজিওর একটি যৌথ দল সীমান্তের যেসব এলাকায় শরণার্থীরা এসেছে বলে খবর পাওয়া গেছে সেসব এলাকায় গেছে।
সেসময় তারা অনেক নতুন শরণার্থী দলের সন্ধান পেয়েছেন। এসব শরণার্থীরা মূলত আছে বিভিন্ন সীমান্তবর্তী গ্রামে। তারা যেখানেই থাকার মতো জমি পেয়েছে, সেখানেই থাকছে।
শরণার্থীদের যেভাবে স্থানীয় গ্রামবাসীরা আশ্রয় দিচ্ছেন তার প্রশংসা করে ভিভিয়ান ট্যান বলেন, তারা যথেষ্ট উদারতার পরিচয় দিচ্ছেন।