সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে ৩ রোহিঙ্গা নিহত

সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে ৩ রোহিঙ্গা নিহত

কক্সবাজার-বান্দরবান সীমান্তের মিয়ানমার অংশে স্থলমাইন বিস্ফোরণে ৩ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন রেজু আমতলি ও তুমব্রু সীমান্তে শনিবার রাত ও রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা নারী ও তিনজন আহত হয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সীমান্তের তারকাঁটা ঘেঁষে মিয়ানমার সরকারের বিপুল সংখ্যক স্থলমাইন ও বিস্ফোরক পুঁতে রাখার কড়া সমালোচনা করা হচ্ছে।

সীমান্তের ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, শনিবার রাত ১০টার দিকে রেজু অমতলি সীমান্তের জিরো লাইনের কাছে স্থলমাইন বিস্ফোরণ হলে ৩ রোহিঙ্গা নিহত ও একজন আহত হন। সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।

rohingya

আহত আবদুল করিমকে চিকিৎসার জন্য উখিয়া হাসপাতালে আনা হলেও মরদেহগুলো ওপারের জিরো লাইনেই পড়ে রয়েছে।

এই দুই জনপ্রতিনিধি আরও জানান, রোববার ভোরে তুমব্রু সীমান্তের বাংলাদেশ-মিয়ানমার ৩৭-৩৮নং পিলারের মধ্যস্থানে স্থলমাইন বিস্ফোরণের অন্য ঘটনাটি ঘটে। এ সময় ঘুমধুমের বাইশফাঁড়ি এলাকার বাসিন্দা আবুল খায়েরের ছেলে মো. হাসান (৩২) আহত হন।

তারা জানান, ভোরে ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে হাসান গরু আনতে গেলে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে তার একটি পা উড়ে গেছে এবং চোখেও জখম হয়েছে।

rohingya

এসময় আতাউল্লাহ নামের অপর এক রোহিঙ্গা যুবকও আহত হন। পরে স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় তাদের উদ্ধার করেন। বর্তমানে তারা উখিয়া কুতুপালং ইউএনএইচসিআর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সীমান্তে দায়িত্বরত এক বিজিবি সদস্যা পরিচয় গোপন রাখার শর্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে হতাহতের কথা স্বীকার করেছেন।

তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি কমান্ডার ও বিজিবি কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডারের সরকারি মুঠোফোনে বেশ কয়েক বার কল দেয়া হয়। রিং হলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

জেলা সংবাদ শীর্ষ খবর