কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় ৪৬৮ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবি। সোমবার দিবাগত রাতে জল ও স্থল সীমান্ত অতিক্রম করে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করছিল। মঙ্গলবার সকালে নাফ নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে এসব রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো হয়।
টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এসএম আরিফুল ইসলাম তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার দিবাগত রাত ও মঙ্গলবার সকালে নাফ নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে জলসীমানা অতিক্রম করছিল প্রায় ৪৬৮ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু। সীমান্তে টহলরত বিজিবির সদস্যরা তাদের আটক করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছে।
গত ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার রোহিঙ্গাকে আটকের পর মানবিক সহায়তা দিয়ে বিজিবি স্বদেশে ফেরত পাঠিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের সীমান্ত চৌকিতে হামলাকারীদের সহযোগিতার অভিযোগ তুলে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন চালায় সেদেশের সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এ ঘটনায় গৃহহারা হয় ৩০ হাজার মানুষ। পালাতে গিয়ে গুলিতে মৃত্যু হয় অনেকের। আতঙ্কে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৭৮ হাজার রোহিঙ্গা। এসব রোহিঙ্গারা এখনো টেকনাফের লেদা, নয়াপাড়া, শামলাপুর ও উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালীর ক্যাম্পে অবস্থান করছে। আর চলমান অরাজকতায় এ পর্যন্ত প্রায় ১০-১৫ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে বলে বিভিন্ন সূত্র দাবি করছে। অনুপ্রবেশের আশায় সীমান্তের জিরো পয়েন্টে অবস্থান করছে আরও ৩০-৩৫ হাজার রোহিঙ্গা। যাদের অধিকাংশই নারী, শিশু ও বৃদ্ধ।