সুইডেনে ক্লাইমেট অ্যান্ড এয়ার কোয়ালিশনের বৈঠকে হাছান মাহমুদ

সুইডেনে ক্লাইমেট অ্যান্ড এয়ার কোয়ালিশনের বৈঠকে হাছান মাহমুদ

হাইড্রোফ্লোরোকার্বন, মিথেন, ব্ল্যাক কার্বনসহ বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর ক্ষয় হওয়ার জন্য যে সমস্ত গ্যাস দায়ী সেগুলির নিঃসরণ কমানো অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় ‘ক্লাইমেট অ্যান্ড ক্লিন এয়ার কোয়ালিশন টু রিডিউস শর্ট-লিভড ক্লাইমেট পলিউশন’ (এসএলসিপি) কোয়ালিশনের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

বুধবার পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে সদস্য দেশগুলোর পরিবেশ মন্ত্রীরা মিথেন  ও হাইড্রোফ্লোরোকার্বনসহ বিশ্ব উষ্ণায়নে অবদান রাখে এমন গ্যাস নিঃসরণ সংকোচনের জন্য যানবাহন, ইটভাটা ও অনুন্নত রান্নার চুলা থেকে নিঃসরিত গ্রিনহাউজ গ্যাস থেকে বায়ু দূষণ কমানোর জন্য উন্নত ও টেকসই প্রযুক্তির ব্যবহারে সদস্য দেশগুলো একমত হয়েছে।

বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ঘানা, মেক্সিকো, সুইডেনসহ ৬টি দেশ নিয়ে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ওযাশিংটনে ‘ক্লাইমেট এন্ড ক্লিন এয়ার কোয়ালিশন টু রিডিউস শর্ট-লিভড ক্লাইমেট পলিউশন’ নামে এ কোয়ালিশন গঠিত হয়েছিল।

স্টকহোমের এ বৈঠকে নরওয়ে, নাইজেরিয়া ও কলম্বিয়া নতুন করে সদস্য হিসেবে যোগ দেওয়ায় বর্তমানে ৯টি দেশ এ কোয়ালিশনের সদস্য।

ড. হাছান মাহমুদ তার বক্তব্যে বলেন, এ উদ্যোগের ফলে মানুষের হাঁপানি ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগের বিস্তার রোধ এবং খাদ্য উৎপাদন পরিস্থিতির উন্নতি সাধিত হবে। বিশ্বে প্রতিবছর ২০ লাখ লোক এ সমস্ত রোগে প্রাণ হারান। এ উদ্যোগের মাধ্যমে অন্তত ২০ লাখ লোকের অকালমৃত্যু ঠেকানো যাবে।

তিনি বলেন, ‘বার্ষিক ৩০ মিলিয়ন টন খাদ্যশস্যের ক্ষতি পরিহার করা যাবে। বিশ্বের তাপমাত্রা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানত জীবাশ্ম জ্বালানি দায়ী হলেও এর পাশাপাশি মিথেন, কালো ধোঁয়া এবং এইচএফসি গ্যাস বায়ু দূষণের জন্য ৩০-৪০ শতাংশ দায়ী।’

এক গবেষণায় জানা গেছে, এ তিনটি গ্যাস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হলে ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের তাপমাত্রা প্রায় ০.৫ ডিগ্রি বৃদ্ধি রোধ করা যাবে। কারণ, এ গ্যাসগুলো বায়ুমণ্ডলে খুব দ্রুত প্রভাব ফেলে।

পরে মন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাইমেট চেঞ্জ বিষয়ক স্পেশাল এনভয় টড স্টের্নের সঙ্গে এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন।

বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের গৃহীত ক্লিন কুক ইনিশিয়েটিভে বাংলাদেশকে অধিকতর সহযোগিতার অনুরোধ জানান মন্ত্রী।

বাংলাদেশের গ্রামীণ মহিলাদের কষ্ট ও দুর্ভোগ কমানো এবং পরিবেশ দূষণ রোধে টড স্টের্ন বাংলাদেশকে অধিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

অর্থ বাণিজ্য