ভিসা থাকা সব হজযাত্রীকে হজে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) মহাসচিব সাহাদাত হোসাইন তসলিম।
তিনি বলেন, ভিসা সংগ্রহের পরও হজযাত্রীদের ফ্লাইটের ব্যবস্থা করছে না যেসব এজেন্সি, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের কপাল পুড়বে। জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
রোববার দুপুরে রাজধানীর আশকোনার হজক্যাম্পে আয়োজিত হজ ব্যবস্থাপনা ও হজযাত্রী পরিবহন সংক্রান্ত এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
এবারও বিভিন্ন হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তাদের গাফিলতির কারণে অনেকের হজে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
চলতি বছর মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন বাংলাদেশির হজ পালনের কথা রয়েছে। ২৬ আগস্ট সকাল ৮টা পর্যন্ত এদের মধ্যে মোট ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৩০ জন হজযাত্রী নিরাপদে জেদ্দা পৌঁছেছেন। সোমবার পর্যন্ত বাকিদের ফ্লাইটের কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স হজযাত্রী পরিবহন করছে। এবার হজ এজেন্সিগুলোর গাফিলতি ও অতি মুনাফার লোভের কারণেই একের পর এক হজ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। হজ ফ্লাইট শুরুর পর থেকে ভিসা জটিলতায় ও হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত কারণে প্রায় ২৪টি হজ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
নিয়ম অনুসারে, হজযাত্রীদের ফ্লাইটের আগেই সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়া করে ভাড়ার রসিদ ও বিমানের টিকিট নিশ্চিত করে হজ অফিস থেকে ডিও লেটার নিতে হয়। সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়া না করার কারণে অনেক হজ যাত্রী ভিসা পেয়েও যেতে পারা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়।