সময় আছে মাত্র একদিন, হজযাত্রী রয়ে গেছে ২০ হাজার। আরও দুইদিন অতিরিক্ত হজ ফ্লাইট চালাতে সৌদি সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের দেনদরবার আলোর মুখ না দেখলে কমপক্ষে ১০ হাজার হজযাত্রী এবার হজ করতে পারবেন না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে ২৭ ও ২৮ আগস্ট ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পেতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ। এ দু’দিন ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতির বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী হাব মহসচিব এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম।
তিনি বলেন, হজযাত্রী পরিবহনে সৃষ্ট অনিশ্চয়তা কাটাতে অতিরিক্ত দু’দিন হজ ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের পর বাড়তি হজ ফ্লাইট পরিচালনায় যাত্রীপ্রতি অতিরিক্ত চার্জ পরিশোধ করতে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে একটি সমঝোতা হচ্ছে। ২৭ ও ২৮ আগস্ট বিমানের অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি মিলবে। এই তথ্য আগামীকাল সকালে গনমাধ্যমকে জানানো হবে।
বিমানের মুখপাত্র শাকিল মেরাজ বলেন, বাড়তি চার্জ ছাড়াই ২৭ ও ২৮ আগষ্ট বিমানের অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পাব। বিমানের ২৪টি ফ্লাইট পুরোপুরি বাতিলের কারণে যে ক্যাপাসিটি লস হয়েছে এবং যেসব হজযাত্রী আটকা পড়েছেন, অতিরিক্ত দু’দিন ফ্লাইট পরিচালনা ছাড়া তাদের জেদ্দা পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি সৌদি সরকারের পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র ও সিভিল এভিয়েশনের বিবেচনায় গুরুত্বের সঙ্গে উপস্থাপন করে অতিরিক্ত দু’দিন ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
এদিকে ২৭ ও ২৮ আগষ্ট ফ্লাইটগুলোর অতিরিক্ত চার্জ (যাত্রী প্রতি এক হাজার সৌদি রিয়াল) মওকুফে রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ বুধবার সৌদি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যুবরাজকে একটি চিঠি লিখেছেন। অনানুষ্ঠানিক সেই চিঠিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সব ধরনের বাড়তি চার্জ মওকুফে সৌদি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেছেন। এটিই এখন বিমানের মুল ভরসা।
উল্লেখ্য, আগামী ২৬ আগস্ট বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পূর্ব নির্ধারিত হজ ফ্লাইট শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। আর সাউদিয়া এয়ারলাইন্স আগামী ২৮ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা থেকে তাদের নির্ধারিত হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে। শুরু থেকে এ পর্যন্ত সাউদিয়ার ৪টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। আর বিমানের বাতিল হওয়া ফ্লাইটের সংখ্যা ২৪টি।