অব্যাহত ফ্লাইট বাতিলের কারণে বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইন্স প্রায় ১৫শ’ হজযাত্রীকে সৌদি আরব পৌঁছাতে পারবে না। এ ছাড়া প্রায় ১ হাজারেরও বেশি হজযাত্র্রীর ভিসার আবেদন এখনও জমাই দেয়নি হজ এজেন্সিগুলো। ফলে প্রায় আড়াই হাজার বাংলাদেশির এবার হজ পালনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
পবিত্র হজ পালনে এ বছর (২০১৭) মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন বাংলাদেশির সৌদি আরবে যাওয়া কথা রয়েছে। সোমবার (২১ আগস্ট) সকাল ৯টা পর্যন্ত সৌদি আরব পৌঁছেছেন ৮৮ হাজার ২০৯ জন হজযাত্রী।
হজ অফিস সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ভিসার আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৮১৮ জন হজযাত্রীর। সৌদি আরব ভিসা দিয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৯৭৯ জনের। এ ছাড়া সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ভিসার জন্য আবেদন জমা দিয়েছে বেশ কিছু হজ এজেন্সি।
এদিকে বিমান থেকে হজ এজন্সিগুলো মোট কতটি টিকিট কিনেছে তা জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সহকারী সচিব এস এম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, হজ এজেন্সিগুলো তাদের নিবন্ধিত হজযাত্রীদের কোন তারিখের ফ্লাইটে কতজনের টিকিট বুকিং/কনফার্ম করেছে তার তথ্য প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
সূত্র জানায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২২ আগস্ট থেকে ২৬ আগস্ট ৩৮টি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে। যদিও বিমান কর্তৃপক্ষ ২৮ আগস্ট পর্যন্ত ফ্লাইট পরিচালনার জন্য সৌদি আরবের কাছে আবেদন করেছে। তবে এ বিষয়ে এখনো অনুমতি মেলেনি। ফলে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত ফ্লাইট পরিচালনা করলে বিমানের পক্ষে প্রায় ১৫শ’ হজযাত্রীকে পরিবহন করা সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে, সৌদি এয়ারলাইন্স ২২ থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত ৩৪টি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে। অতিরিক্ত আরও ৭টি ফ্লাইট পরিচালনার জন্য আবেদন করেছে তারা।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বলেন, বিমান সাধ্যমত চেষ্ট করছে সকল হজযাত্রীকে সৌদি আরবে পৌঁছাতে। হজ ফ্লাইট ঠিক রাখতে নিয়মিত বেশ কিছু ফ্লাইট বাতিলও করা হয়েছে। সব যাত্রী পরিবহনের জন্য সৌদি আরবের কাছে অতিরক্তি ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
হজ অফিসের সহকারী অফিসার মো. আব্দুল মালেক বলেন, সোমবারও অনেক এজেন্সি ভিসার আবেদন জমা দিয়েছে। ভিসাপ্রাপ্ত হজযাত্রীদের চূড়ান্ত সংখ্যা মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) পাওয়া যাবে। তখন বলা যাবে কতজন যেতে পারছেন না।