আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দেয়া রায়ের বিষয়ে বলেছেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায়ের সার্টিফাইড কপির জন্য দরখাস্ত করা হয়েছে। রায়টি আরও পরীক্ষা করা হচ্ছে। আরও পড়ে দেখা হচ্ছে। অর্থাৎ রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনের জন্য সরকার তৈরি হচ্ছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, রায়ের মধ্যে অপ্রাসঙ্গিক, অপ্রয়োজনীয় এবং আপত্তিকর যে কথাগুলো উঠে এসেছে, সেগুলো সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দেখানো স্বাভাবিক। তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত কেউ উগ্র কোন প্রতিক্রিয়া না দেখায় বা প্রতিক্রিয়ার কোনো ভাষায় আদালত অবমাননা না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত এসব ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দেখানো অন্যায় নয়। তিনি বলেন, সরকার রায়ের সঙ্গে হয়তো একমত পোষণ করে না কিন্তু রায়কে শ্রদ্ধা করে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সরকারি শিশু পরিবারের ১৫৪ জন অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুর মাঝে খাবার বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
‘এখন অনেকেই বলছেন তদন্তের ত্রুটির কারণে বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত রাঘব বোয়ালরা ছুটে গেছে’ উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা কিন্তু ১৯৭৫ সালে বা আশির দশকে কিংবা নব্বয়ের দশকের প্রথম দিকে শুরু হয় নাই। শুরু হয়েছে ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে। তিনি বলেন, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারাই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং তারাই এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের এভিডেন্স লুকানোর এবং সরানোর কাজটা করেছেন। সুতরাং ২১ বছর পর যে তদন্ত হয়েছে তা বাস্তবভিত্তিক ছিল।
এ সময় আইন সচিব আবু সালেহ্ শেখ মো. জহিরুল হক, নিবন্ধন পরিদফতরের মহাপরিদর্শক খান মো. আব্দুল মান্নান, আইন ও বিচার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহাসহ আইন মন্ত্রণালয় ও সমাজসেবা অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।