পিরোজপুরে সবগুলো বেইলি ব্রিজই ঝুঁকিপূর্ণ

পিরোজপুরে সবগুলো বেইলি ব্রিজই ঝুঁকিপূর্ণ

পিরোজপুর জেলার অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি রুটের মানুষ। বাঁশ-কাঠের বিকল্প সাঁকো দিয়ে আবার কোথাও নৌকায় খাল পারাপার হতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। সবচেয়ে বিপাকে আছে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও এ অঞ্চলের মৎস্যজীবী ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ব্রিজ নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো ধরনের অগ্রগতি না দেখায় স্থানীয় জনগণ, ব্যবসায়ী, ভূক্তভোগী শিক্ষার্থী ও পরিবহন চালকরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া ও মঠবাড়িয়া উপজেলার চরখালী-তুষখালী-মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটা সড়কের সবগুলো বেইলি ব্রিজ রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। পিরোজপুর সড়ক বিভাগের চরখালী-তুষখালী-মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটা সড়কে ২০টি লোহার সেতু রয়েছে যেগুলো বেইলি ব্রিজ নামে পরিচিত। সেতুগুলোর স্থায়িত্ব ১০ বছর হলেও সেগুলো স্থায়িত্বের প্রায় তিনগুণ সময় অতিক্রম করেছে। ফলে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে সেতুগুলো।

piroj

এদিকে সেতুগুলোতে ধারণক্ষমতার দেড় থেকে দুইগুণ যানবাহন চলাচল করছে। এবিষয়ে কোনো তদারকি না থাকায়, অনায়াসেই সেগুলো ওই সকল ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলোর উপর দিয়ে চলাচল করে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন ঝুঁকিপূর্ণ এসব ব্রিজের উপর থেকে আতঙ্কের মধ্যেই চলাচল করছে যানবাহন ও স্থানীয়রা। যখনই ব্রিজে কোনো বাস কিংবা ট্রাক ওঠে, তখনই ব্রিজগুলো দুলতে থাকে। এছাড়া ওই সব ব্রিজগুলোতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

বাসের চালকরা জানিয়েছেন, তুষখালী-মঠবাড়িয়া সড়কের ব্রিজগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সেগুলোর উপরে যানবাহন উঠলেই তারা খুবই আতঙ্কের মধ্যে থাকেন।

piroj

পিরোজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম জানান, চরখালী-তুষখালী-মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটা সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজগুলো পর্যায়ক্রমে আরসিসি গ্রিডার ব্রিজে রূপান্তরিত করা হবে। এজন্য ডিপিপি’র আওতায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

এবিষয়ে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল হাসান জানান, বরিশাল অবকাঠামো প্রকল্পের আওতায় হুলারহাট থেকে পাড়েরহাট বন্দর অংশে একটি স্ট্যান্ডার্ড ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে যা ইতোমধ্যে ডিজাইন করা হয়েছে।

জেলা সংবাদ